10-11-17 PRABHU MILAN : BENGALI : REVISE : 31-10-2007
১০-১১-১৭ প্রভু মিলন রিভাইস : ৩১-১০-২০০৭
*"নিজের শ্রেষ্ঠ স্বমানের নেশাতে থেকে অসম্ভবকে সম্ভব করে বেফিকর বাদশাহ হও"*
১০-১১-১৭ প্রভু মিলন রিভাইস : ৩১-১০-২০০৭
*"নিজের শ্রেষ্ঠ স্বমানের নেশাতে থেকে অসম্ভবকে সম্ভব করে বেফিকর বাদশাহ হও"*
আজ বাপদাদা তাঁর চারিদিকের শ্রেষ্ঠ স্বমানধারী বিশেষ বাচ্চাদের দেখছেন। প্রতিটি বাচ্চার স্বমান এতটাই বিশেষ যে যা কিনা সমগ্র বিশ্বে কোনো আত্মারাই নেই। আপনারা সবাই বিশ্বের আত্মাদের পূর্বজও তোমরা এবং পূজ্যও। সমগ্র সৃষ্টির বৃক্ষের তোমরা হলে আধারমূরত। সমগ্র বিশ্বের পূর্বজ তোমরা প্রথম রচনা তোমরা। বাপদাদা প্রতিটি বাচ্চার বিশেষত্ব দেখে খুশি হন। ছোট বাচ্চাই হোক বা বয়স্ক মাতা অথবা প্রবৃত্তিতে থাকা বাচ্চারা, প্রত্যেকের আলাদা আলাদা বিশেষত্ব। আজকাল যতই বড় বড় সংস্থা থাকুক না কেন, দুনিয়ার হিসেবে তারা বিশেষ, কিন্তু প্রকৃতিজীৎ তো হয়ে দেখাক। চন্দ্রমা পর্যন্ত তো পৌঁছে গেছে, কিন্তু এতো ছোট্ট জ্যোতি স্বরূপ আত্মাকে চিনতে পারে না। আর এখানে ছোট একটি বাচ্চাও "আমি হলাম আত্মা", জ্যোতির্বিন্দুকে জানে, নেশার সাথে বলে "আমি হলাম আত্মা"। যত বড় মহাত্মাই হোন, আর অন্যদিকে ব্রাহ্মণ মাতা, মাতা - রা নেশার সাথে বলে - আমরা পরমাত্মাকে পেয়ে গেছি। পেয়ে গেছো, তাই না! আর মহাত্মারা কী বলে? পরমাত্মাকে পাওয়া অত্যন্ত মুশকিল। প্রবৃত্তিতে থাকা বাচ্চারা চ্যালেঞ্জ করে যে আমরা প্রবৃত্তিতে থেকেও, সাথে থেকেও পবিত্র রয়েছি। কেননা আমাদের মধ্যে বাবা আছেন, তাই উভয়ে একসাথে থেকেও পবিত্র থাকতে পারি। কেননা পবিত্রতা আমাদের স্বধর্ম। পরধর্ম কঠিন হয়, স্বধর্ম সহজ হয়। আর লোক কি বলে? আগুন আর কর্পূর একসাথে থাকতে পারে না। থাকা কঠিন। আর তোমরা সবাই কি বলো? খুবই সহজ। তোমাদের সকলের প্রথম দিকের একটা গীত ছিল - কত কত শেঠ, স্বামী আছে, কিন্তু কেউই এক অলফকে জানে না। ছোট একটি বিন্দু আত্মাকে জানতে পারেনি। কিন্তু তোমরা সব বাচ্চারা জেনে নিয়েছ, পেয়ে গেছ তাঁকে। এতটাই নিশ্চয় আর নেশার সাথে বলে থাকো - অসম্ভবও সম্ভব। বাপদাদাও প্রতিটি বাচ্চাকে বিজয়ী রতন দেখে হর্ষিত হন। কেননা "সাহসী বাচ্চা আর সাহায্যকারী বাপ" ("হিম্মতে বাচ্চে মদদে বাপ") সেইজন্য দুনিয়ার জন্য যা অসম্ভব মনে হয় তা তোমাদের জন্য সহজ আর সম্ভব হয়ে গেছে। আত্মবিশ্বাস বা নেশা থাকে যে তোমরা হলে পরমাত্মার ডাইরেক্ট সন্তান ।এই নেশার কারণে নিশ্চয়ের কারণে পরমাত্মার বাচ্চা হওয়ার কারণে মায়ার থেকে বেঁচে রয়েছ। বাবার বাচ্চা হওয়া অর্থাৎ সহজেই বেঁচে যাওয়া। বাচ্চা মানে আর সব বিঘ্ন থেকে, সমস্যা থেকে বেঁচে যাওয়া।
তো নিজের এত শ্রেষ্ঠ স্বমানকে জানো তো? কেন সহজ? কেননা তোমরা সাইলেন্সের শক্তি দ্বারা পরিবর্তন শক্তিকে কার্যে প্রয়োগ করো, নেগেটিভকে পজেটিভে পরিবর্তন করে নাও। মায়া যত সমস্যার রূপেই এসে থাকুক, কিন্তু তোমরা পরিবর্তনের শক্তি দ্বারা সাইলেন্সের শক্তি দ্বারা সমস্যাকে সমাধান স্বরূপে বদলে দাও, এতটাই শক্তি আছে তাই না ! আছে ? কোর্সও করাও - নেগেটিভকে পজেটিভে পরিবর্তন করবার বিধি শিখিয়ে থাকো। এই পরিবর্তন শক্তি বাবার দ্বারা বর্সাতে প্রাপ্ত হয়েছে। একটি শক্তি নয়, বরং সর্ব শক্তিরই পরমাত্ম বর্সা প্রাপ্ত হয়েছে। সেইজন্য বাপদাদা প্রতিদিনই বলেন, প্রতিদিন মুরলী শুনে তো থাকো? তো প্রতিদিন বাপদাদা এটাই বলেন - বাবাকে স্মরণ করো আর বর্সাকে স্মরণ করো । বাবার স্মরণ সহজ কেন ? যখন বর্সার প্রাপ্তি স্মরণে আসে, তখন বাবার স্মরণ প্রাপ্তির কারণে সহজেই এসে যায়। প্রতিটি বাচ্চার এই রুহানি নেশা থাকে। হৃদয়ে গীত গায় - যা পাওয়ার ছিল তা পেয়ে গেছি। সকলের হৃদয়ে স্বতঃই এই গীত বাজে। নেশা আছে, তাই না ! যত বেশি এই নেশা থাকবে, তো এই নেশার লক্ষণ হল বেফিকর হবে। যদি কোনো প্রকারে সংকল্পে, বোলে বা সম্বন্ধ সম্পর্কে দুশ্চিন্তা (ফিকর) থাকে, তবে নেশা (ফকুর) নেই। বাপদাদা বেফিকর বাদশাহ্ বানিয়েছেন। বলো বেফিকর বাদশাহ্ ? হাত তোলো যারা বেফিকর বাদশাহ্ ! নাকি ফিকর আসে? নাকি কখনো কখনো এসে যায় ! আচ্ছা ! বাবা-ই যখন বেফিকর, তখন বাচ্চাদের ফিকর (চিন্তা) কীসের ! বাপদাদা তো বলে দিয়েছেন - সব চিন্তা বা যে কোনো প্রকারের বোঝা থাকলে তা বাপদাদাকে দিয়ে দাও বাবা যে সাগর ।তো সব বোঝা (সাগরে) সমায়িত হয়ে যাবে । কখনো কখনো বাপদাদা বাচ্চাদের একটি গীত শুনে মনে মনে হাসেন। জানো কী সেই গীত ? কী করব ? কীভাবে করব... কখনো কখনো তো গেয়ে থাকো ! বাপদাদা তো শুনতে থাকেন। কিন্তু বাপদাদা সব বাচ্চাদের এটাই বলেন যে, হে মিষ্টি বাচ্চারা, আদরের বাচ্চারা, সাক্ষী দ্রষ্টার সিটে সেট হয়ে যাও আর সিটে বসে সেট হয়ে খেলা দেখো, খুব মজা আসবে, বাহ ! ত্রিকালদর্শী স্থিতিতে স্থিত হয়ে যাও । সিট থেকে নিচে নেমে আসো তাই তো আপসেট হয়ে যাও। সেট থাকো, তবে আপসেট হবে না।
এই তিনটি বিষয় বাচ্চাদের খুব বিরক্ত করে। কোন্ বিষয়গুলি? - চঞ্চল মন, বিভ্রান্ত বুদ্ধি আর কি করে? পুরানো সংস্কার। বাপদাদার বাচ্চাদের একটি বিষয়ের কথা শুনে হাসি পায়। জানো তো কি বিষয়? বলে বাবা কি করি, আমার পুরানো সংস্কার যে ! বাপদাদা মনে মনে হাসেন। যখন বলছ আমার সংস্কার, তো তাকে তোমার বানিয়েছ, তাই না? তো নিজের জিনিসের উপরে তো অধিকার থাকেই, তাই না! যখন পুরানো সংস্কারকে তোমার সংস্কার বানিয়ে নিয়েছ, তবে তোমার জিনিস জায়গা নেবেই তাই না! এই ব্রাহ্মণ আত্মা কি বলতে পারে এটা আমার সংস্কার? আমার - আমার বললে আমার তার জায়গা নেবেই। তোমরা ব্রাহ্মণরা 'আমার' - এই কথাটি বলতে পার না। সেটা হল পাস্ট জীবনের সংস্কার। শূদ্র জীবনের সংস্কার। ব্রাহ্মণ জীবনের নয়। তো আমার - আমার বলছ, তবে তো আমার অধিকার - এটাই কায়েম হয়ে গেল। ব্রাহ্মণ জীবনের শ্রেষ্ঠ সংস্কারকে জান তো? আর এই সংস্কার, যাকে তোমরা পুরানো সংস্কার বলো, তা তো পুরানো নয়। তোমাদের, অর্থাৎ শ্রেষ্ঠ আত্মাদের পুরানো থেকেও পুরানো সংস্কার হল অনাদি এবং আদি সংস্কার। এটা তো দ্বাপর অর্থাৎ মধ্যকালের সংস্কার । তো মধ্যকালের সংস্কারকে সমাপ্ত করে দিও, বাবার সহায়তায় সেটা কঠিন হবে না। কি হয়? সময় মতো বাবা কম্বাইন্ড রয়েছেন, তাঁকে কম্বাইন্ড জানা, কম্বাইন্ড-এর অর্থই হল সময় মতো সহযোগী। কিন্তু সেই সময় সহযোগ না নেওয়ার কারণে মধ্যকালের সংস্কার মহান হয়ে যায় ।
বাপদাদা জানেন যে সব বাচ্চারাই বাবার ভালবাসার পাত্র, অধিকারী। বাবা জানেন যে ভালোবাসার কারণে সকলে পৌঁছে গেছেন। বিদেশ থেকে এসে থাকো বা দেশ থেকে এসেছ, কিন্তু সকলে পরমাত্ম ভালোবাসার আকর্ষণের কারণে নিজের ঘরে এসে পৌঁছেছে। বাপদাদাও জানেন যে ভালোবাসায় মেজরিটি পাশ। বিদেশ থেকে ভালোবাসার প্লেনে পৌঁছে গেছ। বলো - সবাই ভালোবাসার সূত্রে বাঁধা হয়ে পৌঁছে গেছ, তাই না! এই পরমাত্ম ভালোবাসা হৃদয়কে আরাম প্রদান করবে। আচ্ছা - যারা প্রথম বার এখানে পৌঁছেছ, তারা হাত তোলো। হাত নাড়াও। অবশ্যই আসবে। এখন বাপদাদা হোমওয়ার্ক দিয়েছিলেন, সেই হোমওয়ার্ক মনে আছে? বাপদাদার কাছে নানান দিক থেকে রেজাল্ট এসেছে। কিন্তু এখন কি করতে হবে? সকলের রেজাল্ট আসেনি। কারো কারো আবার কয়েক পার্সেন্ট এসেছে। বাপদাদা কি চান? বাপদাদা এটাই চান যে তোমরা হলে সব পূজনীয় আত্মা, তো পূজনীয় আত্মাদের বিশেষ লক্ষণ হল দুয়া (আশীর্বাদ) দেওয়া। তো আপনারা জানেন যে আপনারা সবাই পূজনীয় আত্মারা, আশীর্বাদ দেওয়া আর আশীর্বাদ নেওয়া। অর্থাৎ আশীর্বাদ নেওয়া আন্ডারস্টুড হয়ে যায়।
এখন সময়ের সমীপতা অনুসারে বরদান গুলিকে প্রতি মুহূর্তে অনুভবে আনো। অনুভবের অথরিটি হও। যখনই চাও তখন অশরীরী হওয়ার, ফরিস্তা হওয়ার এক্সারসাইজ করতে থাকো। এখনই ব্রাহ্মণ আবার এখনই ফরিস্তা, এখনই অশরীরী। চলতে ফিরতে কাজকর্ম করতে করতে এক মিনিট দুই মিনিট বের করে অভ্যাস করো। চেক করো, যে সংকল্প করেছ সেই স্বরূপ অনুভব করেছ? আচ্ছা।
চারিদিকের সদা শ্রেষ্ঠ স্বমানধারী সদা নিজেকে পরম পূজ্য এবং পূর্বজ অনুভবকারী সদা নিজেকে প্রতিটি সাবজেক্টে অনুভবী স্বরূপ বানাতে সমর্থ সদা বাবার হৃদয় সিংহাসনাধীন ভ্রূকুটির আসনধারী সদা শ্রেষ্ঠ স্থিতির অনুভবে স্থিত থাকতে সক্ষম চারিদিকের সকল বাচ্চাদেরকে স্মরণের ভালোবাসা এবং নমস্কার।
তো নিজের এত শ্রেষ্ঠ স্বমানকে জানো তো? কেন সহজ? কেননা তোমরা সাইলেন্সের শক্তি দ্বারা পরিবর্তন শক্তিকে কার্যে প্রয়োগ করো, নেগেটিভকে পজেটিভে পরিবর্তন করে নাও। মায়া যত সমস্যার রূপেই এসে থাকুক, কিন্তু তোমরা পরিবর্তনের শক্তি দ্বারা সাইলেন্সের শক্তি দ্বারা সমস্যাকে সমাধান স্বরূপে বদলে দাও, এতটাই শক্তি আছে তাই না ! আছে ? কোর্সও করাও - নেগেটিভকে পজেটিভে পরিবর্তন করবার বিধি শিখিয়ে থাকো। এই পরিবর্তন শক্তি বাবার দ্বারা বর্সাতে প্রাপ্ত হয়েছে। একটি শক্তি নয়, বরং সর্ব শক্তিরই পরমাত্ম বর্সা প্রাপ্ত হয়েছে। সেইজন্য বাপদাদা প্রতিদিনই বলেন, প্রতিদিন মুরলী শুনে তো থাকো? তো প্রতিদিন বাপদাদা এটাই বলেন - বাবাকে স্মরণ করো আর বর্সাকে স্মরণ করো । বাবার স্মরণ সহজ কেন ? যখন বর্সার প্রাপ্তি স্মরণে আসে, তখন বাবার স্মরণ প্রাপ্তির কারণে সহজেই এসে যায়। প্রতিটি বাচ্চার এই রুহানি নেশা থাকে। হৃদয়ে গীত গায় - যা পাওয়ার ছিল তা পেয়ে গেছি। সকলের হৃদয়ে স্বতঃই এই গীত বাজে। নেশা আছে, তাই না ! যত বেশি এই নেশা থাকবে, তো এই নেশার লক্ষণ হল বেফিকর হবে। যদি কোনো প্রকারে সংকল্পে, বোলে বা সম্বন্ধ সম্পর্কে দুশ্চিন্তা (ফিকর) থাকে, তবে নেশা (ফকুর) নেই। বাপদাদা বেফিকর বাদশাহ্ বানিয়েছেন। বলো বেফিকর বাদশাহ্ ? হাত তোলো যারা বেফিকর বাদশাহ্ ! নাকি ফিকর আসে? নাকি কখনো কখনো এসে যায় ! আচ্ছা ! বাবা-ই যখন বেফিকর, তখন বাচ্চাদের ফিকর (চিন্তা) কীসের ! বাপদাদা তো বলে দিয়েছেন - সব চিন্তা বা যে কোনো প্রকারের বোঝা থাকলে তা বাপদাদাকে দিয়ে দাও বাবা যে সাগর ।তো সব বোঝা (সাগরে) সমায়িত হয়ে যাবে । কখনো কখনো বাপদাদা বাচ্চাদের একটি গীত শুনে মনে মনে হাসেন। জানো কী সেই গীত ? কী করব ? কীভাবে করব... কখনো কখনো তো গেয়ে থাকো ! বাপদাদা তো শুনতে থাকেন। কিন্তু বাপদাদা সব বাচ্চাদের এটাই বলেন যে, হে মিষ্টি বাচ্চারা, আদরের বাচ্চারা, সাক্ষী দ্রষ্টার সিটে সেট হয়ে যাও আর সিটে বসে সেট হয়ে খেলা দেখো, খুব মজা আসবে, বাহ ! ত্রিকালদর্শী স্থিতিতে স্থিত হয়ে যাও । সিট থেকে নিচে নেমে আসো তাই তো আপসেট হয়ে যাও। সেট থাকো, তবে আপসেট হবে না।
এই তিনটি বিষয় বাচ্চাদের খুব বিরক্ত করে। কোন্ বিষয়গুলি? - চঞ্চল মন, বিভ্রান্ত বুদ্ধি আর কি করে? পুরানো সংস্কার। বাপদাদার বাচ্চাদের একটি বিষয়ের কথা শুনে হাসি পায়। জানো তো কি বিষয়? বলে বাবা কি করি, আমার পুরানো সংস্কার যে ! বাপদাদা মনে মনে হাসেন। যখন বলছ আমার সংস্কার, তো তাকে তোমার বানিয়েছ, তাই না? তো নিজের জিনিসের উপরে তো অধিকার থাকেই, তাই না! যখন পুরানো সংস্কারকে তোমার সংস্কার বানিয়ে নিয়েছ, তবে তোমার জিনিস জায়গা নেবেই তাই না! এই ব্রাহ্মণ আত্মা কি বলতে পারে এটা আমার সংস্কার? আমার - আমার বললে আমার তার জায়গা নেবেই। তোমরা ব্রাহ্মণরা 'আমার' - এই কথাটি বলতে পার না। সেটা হল পাস্ট জীবনের সংস্কার। শূদ্র জীবনের সংস্কার। ব্রাহ্মণ জীবনের নয়। তো আমার - আমার বলছ, তবে তো আমার অধিকার - এটাই কায়েম হয়ে গেল। ব্রাহ্মণ জীবনের শ্রেষ্ঠ সংস্কারকে জান তো? আর এই সংস্কার, যাকে তোমরা পুরানো সংস্কার বলো, তা তো পুরানো নয়। তোমাদের, অর্থাৎ শ্রেষ্ঠ আত্মাদের পুরানো থেকেও পুরানো সংস্কার হল অনাদি এবং আদি সংস্কার। এটা তো দ্বাপর অর্থাৎ মধ্যকালের সংস্কার । তো মধ্যকালের সংস্কারকে সমাপ্ত করে দিও, বাবার সহায়তায় সেটা কঠিন হবে না। কি হয়? সময় মতো বাবা কম্বাইন্ড রয়েছেন, তাঁকে কম্বাইন্ড জানা, কম্বাইন্ড-এর অর্থই হল সময় মতো সহযোগী। কিন্তু সেই সময় সহযোগ না নেওয়ার কারণে মধ্যকালের সংস্কার মহান হয়ে যায় ।
বাপদাদা জানেন যে সব বাচ্চারাই বাবার ভালবাসার পাত্র, অধিকারী। বাবা জানেন যে ভালোবাসার কারণে সকলে পৌঁছে গেছেন। বিদেশ থেকে এসে থাকো বা দেশ থেকে এসেছ, কিন্তু সকলে পরমাত্ম ভালোবাসার আকর্ষণের কারণে নিজের ঘরে এসে পৌঁছেছে। বাপদাদাও জানেন যে ভালোবাসায় মেজরিটি পাশ। বিদেশ থেকে ভালোবাসার প্লেনে পৌঁছে গেছ। বলো - সবাই ভালোবাসার সূত্রে বাঁধা হয়ে পৌঁছে গেছ, তাই না! এই পরমাত্ম ভালোবাসা হৃদয়কে আরাম প্রদান করবে। আচ্ছা - যারা প্রথম বার এখানে পৌঁছেছ, তারা হাত তোলো। হাত নাড়াও। অবশ্যই আসবে। এখন বাপদাদা হোমওয়ার্ক দিয়েছিলেন, সেই হোমওয়ার্ক মনে আছে? বাপদাদার কাছে নানান দিক থেকে রেজাল্ট এসেছে। কিন্তু এখন কি করতে হবে? সকলের রেজাল্ট আসেনি। কারো কারো আবার কয়েক পার্সেন্ট এসেছে। বাপদাদা কি চান? বাপদাদা এটাই চান যে তোমরা হলে সব পূজনীয় আত্মা, তো পূজনীয় আত্মাদের বিশেষ লক্ষণ হল দুয়া (আশীর্বাদ) দেওয়া। তো আপনারা জানেন যে আপনারা সবাই পূজনীয় আত্মারা, আশীর্বাদ দেওয়া আর আশীর্বাদ নেওয়া। অর্থাৎ আশীর্বাদ নেওয়া আন্ডারস্টুড হয়ে যায়।
এখন সময়ের সমীপতা অনুসারে বরদান গুলিকে প্রতি মুহূর্তে অনুভবে আনো। অনুভবের অথরিটি হও। যখনই চাও তখন অশরীরী হওয়ার, ফরিস্তা হওয়ার এক্সারসাইজ করতে থাকো। এখনই ব্রাহ্মণ আবার এখনই ফরিস্তা, এখনই অশরীরী। চলতে ফিরতে কাজকর্ম করতে করতে এক মিনিট দুই মিনিট বের করে অভ্যাস করো। চেক করো, যে সংকল্প করেছ সেই স্বরূপ অনুভব করেছ? আচ্ছা।
চারিদিকের সদা শ্রেষ্ঠ স্বমানধারী সদা নিজেকে পরম পূজ্য এবং পূর্বজ অনুভবকারী সদা নিজেকে প্রতিটি সাবজেক্টে অনুভবী স্বরূপ বানাতে সমর্থ সদা বাবার হৃদয় সিংহাসনাধীন ভ্রূকুটির আসনধারী সদা শ্রেষ্ঠ স্থিতির অনুভবে স্থিত থাকতে সক্ষম চারিদিকের সকল বাচ্চাদেরকে স্মরণের ভালোবাসা এবং নমস্কার।
ওম শান্তি