05-12-16 AVYAKT PRABHU MILAN IN BENGALI
০৫-১২-১৬ ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" মধুবন
*" সকলের হৃদয়ের দর্পণে প্রথম অব্যক্ত মিলনের স্মৃতি সমায়িত হয়ে রয়েছে "*
ওম্ শান্তি। আজকের দিনটিতে ব্রহ্মাবাবার কথা সবচেয়ে বেশী স্মরণে আসে। এই সেই দিন যেদিন অব্যক্ত রূপের বাপদাদার মিলনের সূক্ষ্ম রূপে পার্ট শুরু হয়েছিল এবং সকলের চেহারায় বাপদাদার স্মৃতি স্পষ্ট ভাবে প্রত্যক্ষ হয়েছিল। সকলের মুখ থেকে একটিই শব্দ নির্গত হয়েছিল, আমাদের বাবা, আমাদের বাবা আমাদের সাথে মিলিত হচ্ছেন। সেটা হল সেই দিন, যেদিন তোমরা সকল বাচ্চারা অব্যক্ত রূপে মিলিত হয়েছিল। যেমন এখন তোমরা সবাই বাবার সাথে মিলিত হচ্ছ। তো সেই দিনটি ছিল প্রথম দিন, যেদিন অব্যক্ত রূপে বাবা বাচ্চাদের সাথে মিলিত হয়েছিলেন। প্রতিটি বাচ্চার মনে সেই দিনটি অব্যক্ত মিলনের প্রথম দিন ছিল। সকলের হৃদয়ে অব্যক্ত মিলনের এই দৃশ্য দেখা গিয়েছিল। সকলে অব্যক্ত মিলনের প্রথম দিবস পালন করছিল। প্রতিটি দিনেরই আলাদা আলাদা মাহাত্ম্য রয়েছে। তো এই অব্যক্ত দিন বাবার হৃদয়ে সুন্দর ছাপ রেখে গেছে। ব্যক্ত দেশে থেকেও অব্যক্ত মিলন, অব্যক্ত দিবস, অব্যক্ত দৃশ্য চতুর্দিকের বাচ্চাদের নয়নে ছিল। এমন অব্যক্ত মিলন সভায়, অব্যক্ত রূপে বাবা এবং বাচ্চাদের মিলন উদযাপন করা হচ্ছিল। সকলের মুখে কেবল 'বাবা ও বাবা, মিষ্টি বাবা'। সাকারেও অব্যক্ত রূপ-কে দেখেছ, আর এই অব্যক্ত দিবস মেজরিটি ততটাই স্নেহের সাথে সেই ভাবেই পালন করছিল। সকলের হৃদয়ে এই অব্যক্ত মিলন, সাকার রূপের মিলন, এই মধুর মিলন হৃদয়কে আকৃষ্ট করেছিল। যারা সাকারে মিলিত হয়েছিলে, তাদের এখন সেই মিলন অব্যক্ত মিলন বড়ই মধুর অনুভবকে মনে করিয়ে দিচ্ছিল, আমার বাবা, মিষ্টি বাবা... মনে আছে না সেই মিলন ! কে কে এসেছিলে সেই প্রথম দিনে ? এত বড় সভার মধ্যে কে কে এসেছিলে, হাত তোলো।
দেখো, সেই মিলনের দিনটি বড়ই আন্তরিক ভাবে পালিত হয়েছিল। তো যখন পালিত হচ্ছিল, সেই সময় সবাই অপেক্ষা করছিল, তো এখনই সাকারে বাপদাদা মিলন উদযাপন করছিলেন, আবার এখনই অব্যক্ত ব্রহ্মার রূপে মিলিত হচ্ছিলেন। সবাই সেই দিনটিকে স্মরণ করছিলেন, সেই অব্যক্ত বাবার সেটা ছিল প্রথম দিন, সকলের নয়ন মিলন ডে প্রথম দিবস পালন করছিল। যেমন আজ তোমরা অব্যক্ত দিবস পালন করছো। ঠিক তেমনি সেদিন অব্যক্ত দিবস পালন করছিলে। প্রত্যেকে মনে মনে অব্যক্ত মিলনের আনন্দে মেতে ছিল। সকলের অন্তরের দর্পণের মধ্যে অটোমেটিক সেই দিনটি স্মরণে আসছিল। বাচ্চারা বাবার সাথে আর বাবা বাচ্চাদের সাথে কোন্ রূপে মিলিত হচ্ছিলেন ? সেই দিনের কথা স্মরণে আসছে, যে বাচ্চারা সামনে বসেছিল, তারা সেই দিনগুলির কথা স্মরণ করছিল যে বাবা এবং বাচ্চাদের প্রত্যক্ষ মিলন স্মরণে থেকে থাকবে যে স্বদেশে(বতনে) এই প্রথম দিনের মিলন কেমন ছিল। এমনিতে তো সেটা অল্প সময়ের মিলন ছিল আর সকলের চেহারা দেখে এমন মনে হচ্ছিল যে এই দিনটি চিরকালের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তো সবাই এই দিনটির মিলন উদযাপন করেছিল। ব্যস, সবার হৃদয়ে আমার বাবা, আমার বাবা, আমার বাবা, সকলের চোখ উজ্জ্বল হয়ে উঠছিল। তোমরা সবাই যে এখানে বসে রয়েছো, প্রত্যেকের দুটি করে চোখ রয়েছে, আবার এমন কেউ কেউ আছে বেচারার দেখতেই পায় না, কিন্তু বাবাও বাচ্চাদের দেখছিলেন আর বাচ্চারাও বাবাকে দেখছিল। উভয়ের মুখ থেকেই আমার বাবা, আমার বাবা, আমার বাবা ধ্বনিত হচ্ছিল। ভাবো, সেই সময়ের মিলনে কি কি হয়েছিল ! সেই দিনটিকে ভুলে যাওয়া কঠিন। সেই দিনটির কথা স্মরণ করলে, খুব মনে পড়ে। কেননা, সেটাই ছিল প্রথম দিন, যেদিন নিরাকার থেকে সাকার, সাকার থেকে সূক্ষ্ম ব্রহ্মার রূপে বাবা সকল বাচ্চাদের সাথে মিলিত হচ্ছিলেন। সেই সীন সকলের মনে আছে তো ? সেই দু'চোখের জলের ধারা, দু' নয়ন সেদিনের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছিল। সকলের অন্তর বলছিল যে এই দিনটি স্মরণীয়, মনে রাখার মতো বিশেষ। আর যে সময় সেই অব্যক্ত মিলন বাচ্চারা বাবার সাথে পালন করছিল, তো ভাবো সমগ্র সভার কী অবস্থা হয়েছিল তখন ! সকলে সেই দিনটিকেই স্মরণ করছিল। সকলে সেই স্মরণে কেমন ডুবে ছিল যে সকলের নিশ্চয় সে কথা মনে আছে। যারা এসেছিল তাদের তো মনে থাকবেই সেই স্মৃতি কত গভীর ছিল। সকলের নয়ন গঙ্গা যমুনা নদী হয়ে যাচ্ছিল। তো এই দিনটি হল বিশেষ। সকলে ভাবছিল, আমরা কেমন করে থাকব ! বাবা তো জানতেন, বাবা বললেন, এই দিনটি বড়ই প্রিয় দিন, কাঁদবার দিন নয়। ভালোবাসার স্বরূপ কেমন হয়, সেটা দেখানোর জন্যই এই দৃশ্যটা দেখালাম। তো সবাই নিজের অন্তরের ভালোবাসা প্রকট করেছে। আচ্ছা।
*সেবার টার্ন দিল্লি আর আগ্রার, ১৫ হাজার ওখান থেকে এসেছে। টোটাল ২২ হাজার রয়েছে* : --
খুব ভালো, যারা এখন এসেছ মিলিত হতে, তারা দাঁড়াবেন , বাকিরা বসুন। খুব ভালো, বাপদাদা এই জন্যই বিশেষত হাত তোলালেন যে, যারাই এসেছে অন্তত মিলিত তো হল বাবার সাথে। মিলিত হয়েছো তো সবাই ! আর এই মিলন তোমাদের একটা হোমওয়ার্কও দিয়েছে। আমাদের এখন এরপর কি করতে হবে, সেটাই বলে দিয়েছেন। তো দেখো, বাচ্চাদের শুভ দিনের কথা কতখানি মনে থাকে। ভুলে তো কেউই যায় না, ভিন্ন ভিন্ন রূপে মিলিত হয়। কিন্তু আমরা আর বাবা প্রতিটি দিনের বিশেষত্বকে ভুলতে পারে না। প্রতিটি দিনের বিশেষত্ব স্মরণে আসে আর ভিন্ন ভিন্ন সময়ে যে লীলা চলেছে, সেই দিব্য লীলা কখনো এই লীলা তো কখনো সেই, কোনো কোনো লীলা আবার কেউ কেউ দেখেও থাকবে।
*ডবল বিদেশী, ৩০ টি দেশ থেকে ভাই বোনেরা এসেছেন* : -- সকলেই কাছে চলে এসেছে। কতো বাচ্চা বাবাকে স্মরণ করে! বাচ্চারা সময় অনুসারে আসে কিন্তু যারা স্মরণ করে আর পৌঁছে যায় তাদের খেলা হল বিচিত্র। আসে আর নিজের হৃদয়ের কথা দিলারাম-এর কাছে রাখে আর তারপর চলে যায়। কিন্তু সে সব তো তাদের অন্তরের গভীরতা কথা তাই না ! তো সমগ্র সভার বায়ুমন্ডল, হলের বায়ুমন্ডল স্মৃতির প্রাচীরে যেন সুসজ্জিত এমন দেখায়। চারিদিকের প্রাচীরে "আমার বাবা, মিষ্টি বাবা, প্রিয় বাবা" এটাই লেখা রয়েছে, খুব সুন্দর সুন্দর নকশায় সে সব লেখা, এমনই দেখাচ্ছে। তোমরা দেখতে পাচ্ছ কি ? দেখতে পাচ্ছ তো ! যারা তা দেখতে পাচ্ছ তারা হাত তোলো। তো তোমরাও তোমাদের ভালোবাসার নিদর্শন গুলি, যেগুলো দেখলে সেগুলি স্মরণীয় রূপ ধারণ করেছে। স্মরণীয় দিন সব সময় স্মরণ করতে হয় না, বরং সেই দিনটাই স্মরণীয় হয়ে গেছে।
*দাদীদের সাথে* : -- আজকের সভা দেখলে? বাবাকে দেখলাম তো সব কিছুই দেখা হয়ে গেল (জানকী দাদী)। সকলের হৃদয়ে ভালোবাসার দোলনায় দুলিয়ে দিল। সকলের চেহারার দিকে তাকিয়ে দেখো এখনও সবাই দোলায় দুলছে তাই না ! সবাই দোলনায় বসে আছে, দোলনায়। সবাই মনে মনে বলছে বাবা বাবা। নইলে তো অনেক বেশী আওয়াজ গুঞ্জরিত হয়ে উঠবে। এখন সকলের মনে কি চলছে ! বাবা বাবা বাবা। খুব সুন্দর তাই না ! বাবাও বাচ্চাদের ভালোবাসা দেখে আনন্দিত হচ্ছেন যে তাদের অন্তরে বাবার প্রতি কতো ভালোবাসা রয়েছে আর অন্তর থেকে তা কীভাবে বর্ণন করে। দেখো বাপদাদার অন্তর কী বলছে ! বলবো ? তোমরা না বললে আমিই বলে দিচ্ছি। প্রত্যেকের চেহারা তা বলে দিচ্ছে। এমনিতে তো দূরে দূরে রয়েছে, ততটা বুঝতে পারছে না। কিন্তু প্রত্যেকের অন্তর বলছে, তাদের অন্তরের কথা বাপদাদার কাছে সবার আগে পৌঁছে যায়। সকলের মুখ যেমন দেখাচ্ছে, তা ফটোগ্রাফার তার ছোট কেমেরায় তা বন্দী করে নেয়। আরও দেখো, কারো কারো চেহারা উদাস, কি জানি তারা কি কি ভাবতে থাকে, কিন্তু বাবা সেই বাচ্চাদেরকেই দেখতে পান যারা সর্বদা হাস্যোজ্জ্বল থাকে। তাদের হৃদয়ে বাবার সাথে মিলনের কোনো না কোনো চিত্র থাকে। এই যেমন তোমরা দেখছ আজকের এই বিশেষ মিলন দিবসটিকে।
(রতনমোহিনী দাদীর প্রতি) শরীর ধীরে ধীরে ঠিক হচ্ছে তো !
যখন এমন ভাববে যে, আমরা বাবা আমাদের সাথে মিলিত হচ্ছেন, তো তোমাদের এই ফিলিংস আসবে যে বাবাকে পেয়েছি। বাবা সূক্ষ্ম ভাবে তো দূরে রয়েছেন, কিন্তু সূক্ষ্ম রূপে বাপদাদার চেহারা সমায়িত হয়ে রয়েছে। বাবার হৃদয়ে তো সবাই এসে যেতে পারে তাই না ! যা কিছুই হয়ে যাক না কেন, ঝড়, তুফান, যা কিছুই হোক, অন্তরের সাক্ষাৎকার, অন্তরের হালচাল, আন্তরিক ভোজন সব কিছুই অত্যন্ত ভালোবাসার সাথে স্বীকার করা হয়। সবাই তাতে খুশী হয়। আচ্ছা।
০৫-১২-১৬ ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" মধুবন
*" সকলের হৃদয়ের দর্পণে প্রথম অব্যক্ত মিলনের স্মৃতি সমায়িত হয়ে রয়েছে "*
ওম্ শান্তি। আজকের দিনটিতে ব্রহ্মাবাবার কথা সবচেয়ে বেশী স্মরণে আসে। এই সেই দিন যেদিন অব্যক্ত রূপের বাপদাদার মিলনের সূক্ষ্ম রূপে পার্ট শুরু হয়েছিল এবং সকলের চেহারায় বাপদাদার স্মৃতি স্পষ্ট ভাবে প্রত্যক্ষ হয়েছিল। সকলের মুখ থেকে একটিই শব্দ নির্গত হয়েছিল, আমাদের বাবা, আমাদের বাবা আমাদের সাথে মিলিত হচ্ছেন। সেটা হল সেই দিন, যেদিন তোমরা সকল বাচ্চারা অব্যক্ত রূপে মিলিত হয়েছিল। যেমন এখন তোমরা সবাই বাবার সাথে মিলিত হচ্ছ। তো সেই দিনটি ছিল প্রথম দিন, যেদিন অব্যক্ত রূপে বাবা বাচ্চাদের সাথে মিলিত হয়েছিলেন। প্রতিটি বাচ্চার মনে সেই দিনটি অব্যক্ত মিলনের প্রথম দিন ছিল। সকলের হৃদয়ে অব্যক্ত মিলনের এই দৃশ্য দেখা গিয়েছিল। সকলে অব্যক্ত মিলনের প্রথম দিবস পালন করছিল। প্রতিটি দিনেরই আলাদা আলাদা মাহাত্ম্য রয়েছে। তো এই অব্যক্ত দিন বাবার হৃদয়ে সুন্দর ছাপ রেখে গেছে। ব্যক্ত দেশে থেকেও অব্যক্ত মিলন, অব্যক্ত দিবস, অব্যক্ত দৃশ্য চতুর্দিকের বাচ্চাদের নয়নে ছিল। এমন অব্যক্ত মিলন সভায়, অব্যক্ত রূপে বাবা এবং বাচ্চাদের মিলন উদযাপন করা হচ্ছিল। সকলের মুখে কেবল 'বাবা ও বাবা, মিষ্টি বাবা'। সাকারেও অব্যক্ত রূপ-কে দেখেছ, আর এই অব্যক্ত দিবস মেজরিটি ততটাই স্নেহের সাথে সেই ভাবেই পালন করছিল। সকলের হৃদয়ে এই অব্যক্ত মিলন, সাকার রূপের মিলন, এই মধুর মিলন হৃদয়কে আকৃষ্ট করেছিল। যারা সাকারে মিলিত হয়েছিলে, তাদের এখন সেই মিলন অব্যক্ত মিলন বড়ই মধুর অনুভবকে মনে করিয়ে দিচ্ছিল, আমার বাবা, মিষ্টি বাবা... মনে আছে না সেই মিলন ! কে কে এসেছিলে সেই প্রথম দিনে ? এত বড় সভার মধ্যে কে কে এসেছিলে, হাত তোলো।
দেখো, সেই মিলনের দিনটি বড়ই আন্তরিক ভাবে পালিত হয়েছিল। তো যখন পালিত হচ্ছিল, সেই সময় সবাই অপেক্ষা করছিল, তো এখনই সাকারে বাপদাদা মিলন উদযাপন করছিলেন, আবার এখনই অব্যক্ত ব্রহ্মার রূপে মিলিত হচ্ছিলেন। সবাই সেই দিনটিকে স্মরণ করছিলেন, সেই অব্যক্ত বাবার সেটা ছিল প্রথম দিন, সকলের নয়ন মিলন ডে প্রথম দিবস পালন করছিল। যেমন আজ তোমরা অব্যক্ত দিবস পালন করছো। ঠিক তেমনি সেদিন অব্যক্ত দিবস পালন করছিলে। প্রত্যেকে মনে মনে অব্যক্ত মিলনের আনন্দে মেতে ছিল। সকলের অন্তরের দর্পণের মধ্যে অটোমেটিক সেই দিনটি স্মরণে আসছিল। বাচ্চারা বাবার সাথে আর বাবা বাচ্চাদের সাথে কোন্ রূপে মিলিত হচ্ছিলেন ? সেই দিনের কথা স্মরণে আসছে, যে বাচ্চারা সামনে বসেছিল, তারা সেই দিনগুলির কথা স্মরণ করছিল যে বাবা এবং বাচ্চাদের প্রত্যক্ষ মিলন স্মরণে থেকে থাকবে যে স্বদেশে(বতনে) এই প্রথম দিনের মিলন কেমন ছিল। এমনিতে তো সেটা অল্প সময়ের মিলন ছিল আর সকলের চেহারা দেখে এমন মনে হচ্ছিল যে এই দিনটি চিরকালের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তো সবাই এই দিনটির মিলন উদযাপন করেছিল। ব্যস, সবার হৃদয়ে আমার বাবা, আমার বাবা, আমার বাবা, সকলের চোখ উজ্জ্বল হয়ে উঠছিল। তোমরা সবাই যে এখানে বসে রয়েছো, প্রত্যেকের দুটি করে চোখ রয়েছে, আবার এমন কেউ কেউ আছে বেচারার দেখতেই পায় না, কিন্তু বাবাও বাচ্চাদের দেখছিলেন আর বাচ্চারাও বাবাকে দেখছিল। উভয়ের মুখ থেকেই আমার বাবা, আমার বাবা, আমার বাবা ধ্বনিত হচ্ছিল। ভাবো, সেই সময়ের মিলনে কি কি হয়েছিল ! সেই দিনটিকে ভুলে যাওয়া কঠিন। সেই দিনটির কথা স্মরণ করলে, খুব মনে পড়ে। কেননা, সেটাই ছিল প্রথম দিন, যেদিন নিরাকার থেকে সাকার, সাকার থেকে সূক্ষ্ম ব্রহ্মার রূপে বাবা সকল বাচ্চাদের সাথে মিলিত হচ্ছিলেন। সেই সীন সকলের মনে আছে তো ? সেই দু'চোখের জলের ধারা, দু' নয়ন সেদিনের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছিল। সকলের অন্তর বলছিল যে এই দিনটি স্মরণীয়, মনে রাখার মতো বিশেষ। আর যে সময় সেই অব্যক্ত মিলন বাচ্চারা বাবার সাথে পালন করছিল, তো ভাবো সমগ্র সভার কী অবস্থা হয়েছিল তখন ! সকলে সেই দিনটিকেই স্মরণ করছিল। সকলে সেই স্মরণে কেমন ডুবে ছিল যে সকলের নিশ্চয় সে কথা মনে আছে। যারা এসেছিল তাদের তো মনে থাকবেই সেই স্মৃতি কত গভীর ছিল। সকলের নয়ন গঙ্গা যমুনা নদী হয়ে যাচ্ছিল। তো এই দিনটি হল বিশেষ। সকলে ভাবছিল, আমরা কেমন করে থাকব ! বাবা তো জানতেন, বাবা বললেন, এই দিনটি বড়ই প্রিয় দিন, কাঁদবার দিন নয়। ভালোবাসার স্বরূপ কেমন হয়, সেটা দেখানোর জন্যই এই দৃশ্যটা দেখালাম। তো সবাই নিজের অন্তরের ভালোবাসা প্রকট করেছে। আচ্ছা।
*সেবার টার্ন দিল্লি আর আগ্রার, ১৫ হাজার ওখান থেকে এসেছে। টোটাল ২২ হাজার রয়েছে* : --
খুব ভালো, যারা এখন এসেছ মিলিত হতে, তারা দাঁড়াবেন , বাকিরা বসুন। খুব ভালো, বাপদাদা এই জন্যই বিশেষত হাত তোলালেন যে, যারাই এসেছে অন্তত মিলিত তো হল বাবার সাথে। মিলিত হয়েছো তো সবাই ! আর এই মিলন তোমাদের একটা হোমওয়ার্কও দিয়েছে। আমাদের এখন এরপর কি করতে হবে, সেটাই বলে দিয়েছেন। তো দেখো, বাচ্চাদের শুভ দিনের কথা কতখানি মনে থাকে। ভুলে তো কেউই যায় না, ভিন্ন ভিন্ন রূপে মিলিত হয়। কিন্তু আমরা আর বাবা প্রতিটি দিনের বিশেষত্বকে ভুলতে পারে না। প্রতিটি দিনের বিশেষত্ব স্মরণে আসে আর ভিন্ন ভিন্ন সময়ে যে লীলা চলেছে, সেই দিব্য লীলা কখনো এই লীলা তো কখনো সেই, কোনো কোনো লীলা আবার কেউ কেউ দেখেও থাকবে।
*ডবল বিদেশী, ৩০ টি দেশ থেকে ভাই বোনেরা এসেছেন* : -- সকলেই কাছে চলে এসেছে। কতো বাচ্চা বাবাকে স্মরণ করে! বাচ্চারা সময় অনুসারে আসে কিন্তু যারা স্মরণ করে আর পৌঁছে যায় তাদের খেলা হল বিচিত্র। আসে আর নিজের হৃদয়ের কথা দিলারাম-এর কাছে রাখে আর তারপর চলে যায়। কিন্তু সে সব তো তাদের অন্তরের গভীরতা কথা তাই না ! তো সমগ্র সভার বায়ুমন্ডল, হলের বায়ুমন্ডল স্মৃতির প্রাচীরে যেন সুসজ্জিত এমন দেখায়। চারিদিকের প্রাচীরে "আমার বাবা, মিষ্টি বাবা, প্রিয় বাবা" এটাই লেখা রয়েছে, খুব সুন্দর সুন্দর নকশায় সে সব লেখা, এমনই দেখাচ্ছে। তোমরা দেখতে পাচ্ছ কি ? দেখতে পাচ্ছ তো ! যারা তা দেখতে পাচ্ছ তারা হাত তোলো। তো তোমরাও তোমাদের ভালোবাসার নিদর্শন গুলি, যেগুলো দেখলে সেগুলি স্মরণীয় রূপ ধারণ করেছে। স্মরণীয় দিন সব সময় স্মরণ করতে হয় না, বরং সেই দিনটাই স্মরণীয় হয়ে গেছে।
*দাদীদের সাথে* : -- আজকের সভা দেখলে? বাবাকে দেখলাম তো সব কিছুই দেখা হয়ে গেল (জানকী দাদী)। সকলের হৃদয়ে ভালোবাসার দোলনায় দুলিয়ে দিল। সকলের চেহারার দিকে তাকিয়ে দেখো এখনও সবাই দোলায় দুলছে তাই না ! সবাই দোলনায় বসে আছে, দোলনায়। সবাই মনে মনে বলছে বাবা বাবা। নইলে তো অনেক বেশী আওয়াজ গুঞ্জরিত হয়ে উঠবে। এখন সকলের মনে কি চলছে ! বাবা বাবা বাবা। খুব সুন্দর তাই না ! বাবাও বাচ্চাদের ভালোবাসা দেখে আনন্দিত হচ্ছেন যে তাদের অন্তরে বাবার প্রতি কতো ভালোবাসা রয়েছে আর অন্তর থেকে তা কীভাবে বর্ণন করে। দেখো বাপদাদার অন্তর কী বলছে ! বলবো ? তোমরা না বললে আমিই বলে দিচ্ছি। প্রত্যেকের চেহারা তা বলে দিচ্ছে। এমনিতে তো দূরে দূরে রয়েছে, ততটা বুঝতে পারছে না। কিন্তু প্রত্যেকের অন্তর বলছে, তাদের অন্তরের কথা বাপদাদার কাছে সবার আগে পৌঁছে যায়। সকলের মুখ যেমন দেখাচ্ছে, তা ফটোগ্রাফার তার ছোট কেমেরায় তা বন্দী করে নেয়। আরও দেখো, কারো কারো চেহারা উদাস, কি জানি তারা কি কি ভাবতে থাকে, কিন্তু বাবা সেই বাচ্চাদেরকেই দেখতে পান যারা সর্বদা হাস্যোজ্জ্বল থাকে। তাদের হৃদয়ে বাবার সাথে মিলনের কোনো না কোনো চিত্র থাকে। এই যেমন তোমরা দেখছ আজকের এই বিশেষ মিলন দিবসটিকে।
(রতনমোহিনী দাদীর প্রতি) শরীর ধীরে ধীরে ঠিক হচ্ছে তো !
যখন এমন ভাববে যে, আমরা বাবা আমাদের সাথে মিলিত হচ্ছেন, তো তোমাদের এই ফিলিংস আসবে যে বাবাকে পেয়েছি। বাবা সূক্ষ্ম ভাবে তো দূরে রয়েছেন, কিন্তু সূক্ষ্ম রূপে বাপদাদার চেহারা সমায়িত হয়ে রয়েছে। বাবার হৃদয়ে তো সবাই এসে যেতে পারে তাই না ! যা কিছুই হয়ে যাক না কেন, ঝড়, তুফান, যা কিছুই হোক, অন্তরের সাক্ষাৎকার, অন্তরের হালচাল, আন্তরিক ভোজন সব কিছুই অত্যন্ত ভালোবাসার সাথে স্বীকার করা হয়। সবাই তাতে খুশী হয়। আচ্ছা।