31.12.2016 ওমশান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা " মধুবন
" হৃদয়বান একজনই , হৃদয়যুক্ত অনেকেই , সবার হৃদয়ে আমার বাবা সমায়িত রয়েছে , এই সুখময় জীবনে মজা আছে , যা কিছু হোক ইশারা প্রাপ্ত হলেই একরস অবস্থায় স্থির হওয়ার প্র্যাক্টিস করো , অর্ডার অনুযায়ী অতিন্দ্রীয় সুখে সমায়িত হয়ে যাও "
ওমশান্তি ।
সবার মনে কে রয়েছে ? সম্পূর্ণ সভায় এতজন হওয়া সত্ত্বেও সবাই একমাত্র বাবার দিকেই চেয়ে আছে আর কত স্নেহের সঙ্গে দৃষ্টি নিচ্ছে । প্রত্যেকের দৃষ্টিতে বাবা এবং বাবার সন্তান অতি স্নেহ সহকারে সমায়িত আছে। সবার হৃদয় একটি কথাই বলছে আমার বাবা , আমার বাবা ব্যস। সবাই কত ভালবেসে নিজের স্নেহপূর্ণ স্মরণ দিচ্ছে । কতই বসে থাকুক কোথাও বসে থাকুক কিন্তু সবার হৃদয়ে একজনেরই স্মৃতি রয়েছে , সেটি হল কি ! আমার বাবা । সবার হৃদয়ে কি রয়েছে ? ব্যস্ আমার বাবা। সবার হৃদয়ে বাবার স্নেহের গান স্নেহের কবিতা সমায়িত রয়েছে । সবার হৃদয়ে একটাই গান বেজে চলেছে বাঃহ আমার হৃদয়ে বাবা। বাবা আর আমি , সবার হৃদয়ে এই রয়েছে তো তাইনা ! আমি আর আমার বাবা । দুইজনে হলেও এক । প্রত্যেকের হৃদয়ে এই একমাত্র বাবা সমায়িত আছেন। প্রত্যেকে নিজেকে জিজ্ঞাসা করো আমার হৃদয়ে কে ? কামাল তো এইটাই যে হৃদয় অনেক আছে কিন্তু সমায়িত আছেন কেবল একজনই । এইটাই তো হল কামাল । সবার হৃদয়ে একজনই , এমনই প্রিয় যাকে যতই ভুলতে চাইবে ততই ভুলতে পারবেনা । স্মৃতি যার বেড়েই চলেছে। এইটাই কামাল যে এত বিশাল সভা কি বলবে ! আমার বাবা ! সবার হৃদয়ে একজনের স্মৃতি রয়েছে , আমার বাবা , মিষ্টি বাবা , প্রিয় বাবা । আর এতে কত স্নেহ ভরা রয়েছে । সবার হৃদয়ে একমাত্র বাবা-ই সমায়িত আছেন। কতোজন বসে আছে !
কিন্তু হৃদয়ে আছে একজনই । সবাই কি জানে এইসময় এদের হৃদয়ে কে রয়েছে ? মেজরিটি হৃদয়ে একজনই আছে। যদিও অনেকে বসে রয়েছে কিন্তু এই সভা হল এমন যে হৃদয়ে একমাত্র বাবা-ই রয়েছেন । সবার হৃদয়ে কে আছেন ? আমার বাবা। আর বাবা কত প্রিয় ? যত লোক থাকুক কিন্তু মেজরিটি সবার হৃদয়ে বাবা-ই রয়েছেন । আমার বাবা, হৃদয়ে এমনভাবে আছেন যে হৃদয় থেকে বাইরে বের করা মুশকিল । সবাই ভালবেসে কি বলে , একে অপরের সঙ্গে কি কথা বলে ! আমার বাবা কেমন , আমার বাবা কি করেন ! আমার বাবা , আমার বাবা । গানও রয়েছে কিনা - গাইবে গান তাও হবে একটাই । তাহলে এখন এখানে বসে থাকা এত লোকের মধ্যে যদি হাত তোলানো হয় যে সবার হৃদয়ে কে রয়েছে ! সবাই বলবে আমার বাবা। সবাই এইরকম সোজা হাত তোলো। সবার লম্বা হাত কত মজাদার লাগে। বাইরে গায়না , কারণ বাইরে গাইলে তফাত হয়ে যাবে। বাকি সবার হৃদয়ে একজনই । সবার মন কি বলে ? আমার বাবা, আমার বাবা । আর সবাই এক বাবাকে স্মরণ করে খুশীর অনুভব করছে। দেখো সবার চেহারা দেখো । সবার হৃদয়ে একটাই গান বেজে চলেছে আমার বাবা মিষ্টি বাবা। এতজন হৃদয়ধারীদের হৃদয়ে কে আছেন ? আমার বাবা। আর মজা কত লাগে , যাই হোক কিন্তু আমাদের হৃদয়ে আছেন আমার বাবা, আমার বাবা। এমন সর্বদা আমার বাবা আমার হৃদয়ে আছেন , এই দেখেই সবাই খুশী । সমস্ত সভায় এতজন বসে আছে কিন্তু সবার হৃদয়ে আছেন একজনই , তাইনা ! হৃদয়ে সবার কে আছে ? বাবা।
একজনই হৃদয়ে আছেন । তুমিও বলবে আমার বাবা সেও বলবে আমার বাবা , আমার বাবা। কত মজা । তো সর্বদা এমনই হৃদয়ে বাবা আছেনই । কেউ দেখলে কি দেখতে পাবে , আমার বাবা বসে আছেন । চারিদিকে দেখো কে বসে আছেন! আমার অন্তরে বাবা বসে আছেন , আমার বাবা।
বাবা সর্বদা বলেন আমার বাবা এমন লুকিয়ে রাখো যেন কেউ বের করতে না পারে। সবার চেহারা দেখো এখন যারা বসে আছেন আমার বাবা এই হৃদয়ে আছে , তাহলে দেখো সবার চেহারা কেমন ! স্মিত হাসিতে ভরা। অন্তরে খুশীর ডান্স চলছে। আমার বাবা, এসেছেন, আমার হৃদয়ের বাবা । বলতেও কত মিষ্টি লাগে। আমার বাবা! তো এইভাবেই সর্বদা হৃদয়ে যা কিছু করো আমার বাবা ভুলে যেওনা । সবার হৃদয়ে একজনই । যদি কারো নাও থাকে তবুও বাস্তবে এই সভাটি কিসের ! হৃদয়ে অবস্থিত হৃদয়বান । সবার হৃদয়ে কে ? হৃদয়বান । এমনই বাবা চাইছেন যা কিছু করো আমার বাবা হৃদয়ে সমায়িত করে রাখো। সবার হৃদয়ে কে ? সম্পূর্ণ সভার হৃদয়ে এখন কি হবে ! মিষ্টি বাবা। এমন সভা যে হৃদয়ে একমাত্র হৃদয়বান । হৃদয়বান এক হৃদয়ধারী অনেক। সবার হৃদয়ে একমাত্র বাবা রয়েছেন , যতই কেউ বলুক না কেন । না , হৃদয়ে অন্য কিছু আছে , তাহলে থাকতে পারবেনা । আমার বাবা। কত মজা আছে সবার হৃদয়ে একজনই । বায়ুমন্ডল দেখো কত সুখময় , অতিন্দ্রীয় সুখের সভা দেখতে হলে দেখো। যদি কিছু হয় তবে সবার মন বলবে বাঃহ বাবা বাঃহ ! সবার হৃদয়ে কে রয়েছে ! আর মজা তো এই যে এত থেকেও , যদিও অন্য কেউও থাকবে মাঝে কিন্তু মেজরিটি এই সময়ে বাবা বাবা বলছে তো একমাত্র বাবা সবার হৃদয়ে আছেন। এতেই কত মজা রয়েছে । এমনই এই সভা দ্বারা ভাইব্রেশন কি আসছে? একজন বাবারই স্মরণ । তো সবাইকে জিজ্ঞাসা করা হলে তোমাদের হৃদয়ে কে রয়েছে ! সবাই বলবে আমার বাবা।
তো মজা হল কিনা ! সভা একটি কিন্তু একের মধ্যে এক , একটাই হল সভা , একজনই হলেন জাদুকর । সবার মনে কি গান বাজে ! বাঃ আমার বাবা বাঃ । বলো এখন । রোজ সকালে যখন তৈরী হয়ে যাও , এমনিতে তো সব কাজ করতে করতে বাবার স্মরণ থাকে তবুও যদি তৈরী হয়ে স্মরণ করে কাজ করতে বা কিছু করতে যাও তখন মজা কত হয় । এমন কেউ আছে যে আজ এখন , সত্যযুগে নয় এখন , বাবাকে মনে নেই । এমন আছে কেউ , যে বাবাকে মনে করতে পরিশ্রম করছে , আছে কেউ ? হাত তোলো। দেখো কত সুন্দর সভা । সম্পূর্ণ সভা কত সুন্দর । আর মজা আছে স্মরণে । মজাই তো আছে তাইনা ! আর কি চাই ? যদি কেউ জিজ্ঞাসা করে তোমার মনে কি ? তো কি বলবে ? বাবা । বাবাকে হৃদয় দিয়েছ । যখনই স্মরণ করবে আমার বাবা। তো একের স্মরণে মজা অনুভব হয় তো ? হয় কি ? কারণ একের স্মরণ কিনা , অনেকে নয় যে বলবে না জানি স্মরণে আসবে কি আসবেনা । এক বাবা আছেন। আর এই স্মরণের দ্বারা কি প্রাপ্তি নেই ? যার যা চাই , খুশী চাই , আনন্দ চাই , সবার মনে খুশীর ধারা বইছে কারণ এখন আমাদের সময়টাই হল খুশীর স্মরণ । তো এক সেকেন্ডে খুশী অনুভব হল ? নাকি পরিশ্রম লাগলো ? এতোটা পরিশ্রম নেই যতটা প্রেম রয়েছে । প্রত্যেকে নিজের নিজের আনন্দে বসে আছে। তো লাইফ আছে এতেই , যেখানে একের স্মরণ আছে , একমাত্র মনমনাভব !
এখন বাবাকেই স্মরণ করো আর সবকিছু ভুলে যাও, তো সেকেন্ডে সবাই করবে তো তাইনা ! পরিশ্রম আছে কি ! বাবা বলবেন এখনই ওমশান্তি । তো তোমরা কি এক সেকেন্ডে ওমশান্তি স্বরূপে টিকতে পারবে ? হ্যাঁ কি না ! মজা তখন আছে যখন এক সেকেন্ডে বলা মাত্রই এক সেকেন্ডে এখান থেকে ওখান থেকে হ্যাঁ রেসপন্ড আসবে। কারো না আসবে কারো হ্যাঁ সেটাও ঠিক নয়। যখন বাবা বলেন মনমনাভব তখন সবাই মনমনাভব হয়ে যাওয়া উচিত । এই রূপ হতে পারে তাইনা ! বাবা বলবেন চলো সবাই নিজের স্মরণের যাত্রায় সেকেন্ডে সবাই যেন পৌঁছে যায়। তোমরা সবাই যে বসে আছো এক সেকেন্ডে বাবার স্মরণে বসতে পারো তো নাকি ! আর মজা কত সবাই একের স্মরণে । কত সুখময় এই জীবন । বাঃহ । যারা ভাবে আমাদের বর্তমান জীবন সুখময় তারা হাত তোলো। আচ্ছা । দেখো , সামনে পিছনে সবাই নিজের চেহারা দেখো , কি দেখা যায় ! সবাই প্রেমপূর্ণ স্মরণে সমায়িত রয়েছে । এই অবস্থা যত সময় বলো হতে পারে কিন্তু প্র্যাক্টিস চাই। এখন সবার জন্যে বলা হয় এক সেকেন্ড নয় , এক মিনিটে সবাই এই নেশায় বাঃহ আমার অতিন্দ্রীয় সুখময় জীবন , যদি বাবা এমন বলেন তবে এক সেকেন্ডে এমন অবস্থায় স্থির হতে পারবে ? হাত তোলো। সবাই নিজের ডান হাত তোলো , এখানে এসে দেখো সভা কত সুন্দর দেখতে লাগছে। এই প্র্যাক্টিস চাই। যাই হোক , কোনো ব্যথা বা কোনো এমন কথা যাই হোক চেহারা যেন পাল্টে না যায় , হাসিতে যেন ভরে থাকে। এমন প্র্যাক্টিস চাই। আদেশ পাবে এখন অতিন্দ্রীয় সুখে বসে যাও তো বসতে পারবে ? এখন দুই মিনিট সবাই একরস অবস্থায় বসো। অতিন্দ্রীয় সুখের ধারায় বসে দেখো কত মজা হয়।
এই অতিন্দ্রীয় সুখের ঝুলায় ঝুলতে থাকা যে কতই সুখের । কোনও কথা হোক যা কিছু সামনে আসুক কিন্তু এই সুখ ভুলোনা , এইরকম হতে পারে কি ! হতে পারে ! তোমরা বলো হতে পারে কি , হয়েই আছে কারণ আমাদের জীবনে আর আছে কি ! তোমরা নিজের মনকে জিজ্ঞাসা করো , কি আছে ? নিজেই দেখো নিজের মনে , কোনো দুঃখ আছে , কোনো অশান্তি আছে ! যদি আছে তাহলে তার কারণ নিবারণ জিজ্ঞাসা করতে পারো। তো বাবা বলেন আমার বাচ্চা , এমন বলবে কিনা , আমার বাচ্চা আর খুশীতে থাকবেনা এমন তো হতে পারেনা , আমার বাচ্চারা মেজরিটি খুশীতে থাকবে। এখন মেজরিটি সত্যি করে বলো অন্তরে কোনো কথা আটকে নেই তো ! কেননা আমাদের জীবনে কি আছে । যদি পরিচয় দেয় তো কি দেবে । সুখ শান্তি আনন্দ প্রেম এই হল আমাদের জীবন। এমন আছে ? কখনও দেখো এখন এই জীবন আমাদের নয় , অন্য জীবন এল কেন । যখন বাবার হুকুম আছে , তো এখন এতেই থাকবে তুমি ছাড়বে কেন ! এই অবস্থা যে রয়েছে সুখময় জীবন এইরূপ সদা থাকা চাই। তাহলে তোমরা কয়জন আছো যারা ভাবে মেজরিটি এমনই থাকে ? তারা হাত তোলো । ভালই হাত তোলে। পুরুষার্থ করলে কত বড় কথা। আমরা যেমন নিজের অবস্থা স্থির করব তেমনই থাকবে। মালিক কে ! মালিক তো আমরাই কিনা ! শুধু এতেই অ্যাটেন্সন চাই । অ্যাটেন্সন এখানে ওখানে হয়ে যায় তো সেও চক্কর লাগিয়ে দেয়।
তো সারাদিনে এই অনুভব করা উচিত কেননা এই অভ্যাস অত্যন্ত জরুরি । যতই কথা আসুক , একরস অবস্থার ইশারা পেয়ে স্থির হও। এই অভ্যাস সারাদিনে প্রত্যেকের নিজের রিহার্সাল হওয়া উচিত । আচ্ছা - একঘন্টা এই অবস্থায় বসলে কোনো বড় কথা নয় , আমার অবস্থা কিনা । যদি না বসো তবে আমার অ্যাবসেন্স আছে। যদি এই অবস্থায় স্থিত থাকার চেষ্টা করো তো খুব ভাল , তোমাদের জীবন এমন অনুভব হবে যেন সুখময় শয্যাশায়ী । এই প্র্যাক্টিস নিশ্চয়ই থাকা উচিত । যা কিছুই হোক কিন্তু আমার অবস্থা আমার হাতে থাকা উচিত । এত সবাই বসে আছো , তো বললে সেইসময় নিজের অবস্থা স্থির থাকে। এই পুরুষার্থ নিজের দেখো , বা ভাবছ ও বসেছে আর এই বসেনি। নিজের হাতে হওয়া উচিত । স্থিতিতে স্থির হতে চাইলে হও তাইনা ! না হতে পারলে কি বলা হবে ? যোগী । আর ধীরে ধীরে এই প্র্যাক্টিস থাকলে যখন চাইবে তখন টিকতে পারবে। স্থির হওয়ার চেষ্টা সবাই করো তো নিশ্চয়ই সারাদিন । নিজের চেকিং নিজেই করবে। সারাদিন নিজের হাতেই রয়েছে । নিজের বুদ্ধিকে স্থির করা নিজের হাতেই আছে। আর করতেও পারো। এখন সবাই বসে নিজের শ্রেষ্ঠ অবস্থা অনুভব করেছ ? যে করেছে মন মানছে সে হাত তোলো। আচ্ছা । হাত তো সবাই তুলেছে। আচ্ছা , কারো বেশী কারো কম হয়েছে। কিন্তু যত সময় বলা হয় তত সময় নিশ্চয়ই হওয়া উচিত । সবাই এই ট্রায়াল করেছে, এই ট্রায়াল করতেই থাকো। যে কোনো সময়ে যদি এই অবস্থায় তৎক্ষণাত স্থির হতে পারো তবে তাকে যোগেশ্বরের লাইনে রাখা হবে।
যদি কেউ চায় যে এইসময় এমন বায়ুমন্ডলেও যেমন অবস্থায় আমি চাই স্থির হতে পারি , সে হাত তোলো। করতে পারো ? হাত তো অনেকেই তুলেছে। আচ্ছা , যদি এমন আছে , যখন চাইবে তখন আধা ঘন্টা যেন বসতে পারো। এই অভ্যাস মধ্যে মধ্যেই নিজেই করা উচিত । শুধু অ্যাটেন্সন দিতে হয় কারণ মাইন্ড কন্ট্রোলের যে পাওয়ার আছে , তাতে একটু করে এগোনো উচিত । যদিও এত সবাই একত্রে রয়েছে এইসময় অর্ডার পেয়েই আধা ঘন্টার , সোয়া ঘন্টার , যেন নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারো , এই অভ্যাসও থাকা উচিত । নিজের অবস্থা কখনও কেমনও হতে পারে কিন্তু অবস্থাও এমন হবে যে যেমন চাইব তেমন হবে। দিনের বেলায়ও যেন কন্ট্রোল করা যায় এমন প্র্যাক্টিস যেন থাকে। করতে পারবে , এতটা হতে পারবে। সাধারণ রূপে এখন বসে আছো এখন কন্ট্রোলের অর্ডার আসলো । এখন আধা ঘন্টা তোমরা এই অবস্থায় স্থির হতে পারো নাকি বারবার অ্যাটেন্সন দিতে হয়। যদি এই অভ্যাসও থাকে এই প্র্যাক্টিস যেন থাকে যে নিজেকে আটকাতে পারো। এমন যারা আটকাতে চাইলে আটকাতে পারবে তারা হাত তোলো । যে আটকাতে চাইলে সেই অবস্থায় স্থির হবে। এই প্র্যাক্টিস হওয়া উচিত কারণ সময় এমনই আসছে যা আদেশ পাবে সেইরকম কাজ করতে পারবে। আদেশ মানে আদেশ । এমন নয় আদেশ পাবে আর প্র্যাক্টিকালে সময় নেবে। এই অভ্যাস নিশ্চয়ই হওয়া উচিত দিনে যে কোনো ফ্রী সময়ে আদেশ করলে আদেশ পালন হবে। এমন অবস্থার পুরুষার্থ হওয়া উচিত । এই অভ্যাস জরুরি । চলো, দশ মিনিট ভাবলাম বসব আর পাঁচ মিনিট বসা হল যতই হোক কিন্তু আদেশ মানা জরুরী । তোমরা ভাবলে এখনই এমন হতে পারে ? আচ্ছা ।
সেবার টার্ন উত্তরপ্রদেশের , বেনারসের , পশ্চিম নেপালের , ১১ হাজার ইউপি থেকে , মোট ২৩ হাজার এসেছে :-
সবাই এমন পুরুষার্থ করছ , করতে থেকো কারণ আমাদের প্র্যাক্টিস হলে অন্যদের বলতে পারব। নাহলে বলতে লজ্জা হবে। এমন প্র্যাক্টিস হওয়া উচিত । কখনও কোনো সময় এমন আসতে পারে যে আমাদের পেপার দিতে হবে তাই এই প্র্যাক্টিস থাকা চাই। তো সবাই খুশী তো ? হাত তোলো। প্র্যাক্টিস করলে সহজ হয়ে যাবে, মুশকিল লাগবেনা । শুধু করতে থাকো। কোনো সময় এমন যখন একটু সময় পাবে। একটু সময়ই হোক , প্র্যাক্টিস চাই। এমন প্র্যাক্টিস ছাড়বেনা । এই প্র্যাক্টিস নিজেই নিজেকে করাতে থাকো। এই প্র্যাক্টিস করো যত সময় করতে চাও তত সময় করো। এখনতো সারাদিনের ক্লান্ত হবে , এখন বাবা করাবেনা। আরাম করে করো কিন্তু করো। যত টাইম চাও তত টাইমের ধীরে ধীরে অভ্যাস করো। আর হয়ে যাবে। বাবার বরদান রয়েছে ।
ডবল বিদেশী ভাই বোনেরা পঞ্চাশ দেশ থেকে ৬০০ জন এসেছে :- ( ছোট বাচ্চারা গান গাইছে ) জোরে গাও। ( আমার সঙ্গে চলছে বাবা)
দাদিদের সঙ্গে :-
তোমরা ভাবো কি , হতে পারে ? যদি অ্যাটেন্সন রাখবে তো কি হবেনা ? সব হতে পারে কিন্তু দৃঢ় নিশ্চয় থাকলে। করতেই হবে। ভাবো এখন শুরু না করলে হঠাৎ বললে , কাল থেকে এক ঘন্টা করবে , তাহলে করতে পারবে কি ? যে করতে পারবে হাত তোলো । কম আছে। কোনো ব্যাপার না।
বাবা নতুন বছর ? ( নির্ব্যার ভাইকে ) আপনি হ্যাপী নিউ ইয়ার করুন তাহলে সবাই করবে। সবাই খুবই উৎসাহের সঙ্গে করেছে, খুব ভাল। হ্যাপী নিউ ইয়ার । ( বৃজমোহন ভাই বললেন - দাদি জানকী জীর ১০১ তম বার্থ ডে কালকে সন্ধ্যায় পালন হবে , দাদিজীকে সবার দিক থেকে অনেক অভিনন্দন । )
( রমেশ ভাই ট্রমা সেন্টার , শান্তিবনে আছেন , বাপদাদাকে ওনার স্মরণ) রমেশ ভাইকে নতুন বছরের অনেক অনেক স্মরণ দেবে। ডাক্তারেরা যে ট্রীটমেন্ট দিয়েছেন সেসব চলুক । বাচ্চা বাপদাদার নজরে আছে। বাপদাদা শক্তি দিচ্ছেন ।
( বাপদাদা সবাইকে নতুন বছরের অভিনন্দন দিচ্ছেন )
সবাইকে নতুন বছরের অভিনন্দন শুনে ভাল লেগেছে তাইনা । সবাই ভেতরে খুশী হচ্ছে । শুধু কি , সময় এমন যে সবার খিদে পেয়েছে হয়তো তাই যাচ্ছে । নতুন বছরে যে এখন শুরু হচ্ছে , তোমাদের সবাইকে অনেক অভিনন্দন । সবাই অভিনন্দন পেয়েছ ? এই অভিনন্দন সবাই সামলে রেখো আর অন্যদেরও দিও। ( নির্ব্যার ভাই বললেন এই অভিনন্দন যে বাপদাদা আমাদের সবাইকে দিয়েছেন তার জন্যে তোমাদের সবার দিক থেকে বাপদাদাকে কোটি কোটি ধন্যবাদ )
দাদি বললেন - বাবা তোমাদের সবাইকে অনেক স্নেহপূর্ণ স্মরণ দিয়েছেন । তোমাদের দিক থেকে বাবাকে অভিনন্দন জানাই।
" হৃদয়বান একজনই , হৃদয়যুক্ত অনেকেই , সবার হৃদয়ে আমার বাবা সমায়িত রয়েছে , এই সুখময় জীবনে মজা আছে , যা কিছু হোক ইশারা প্রাপ্ত হলেই একরস অবস্থায় স্থির হওয়ার প্র্যাক্টিস করো , অর্ডার অনুযায়ী অতিন্দ্রীয় সুখে সমায়িত হয়ে যাও "
ওমশান্তি ।
সবার মনে কে রয়েছে ? সম্পূর্ণ সভায় এতজন হওয়া সত্ত্বেও সবাই একমাত্র বাবার দিকেই চেয়ে আছে আর কত স্নেহের সঙ্গে দৃষ্টি নিচ্ছে । প্রত্যেকের দৃষ্টিতে বাবা এবং বাবার সন্তান অতি স্নেহ সহকারে সমায়িত আছে। সবার হৃদয় একটি কথাই বলছে আমার বাবা , আমার বাবা ব্যস। সবাই কত ভালবেসে নিজের স্নেহপূর্ণ স্মরণ দিচ্ছে । কতই বসে থাকুক কোথাও বসে থাকুক কিন্তু সবার হৃদয়ে একজনেরই স্মৃতি রয়েছে , সেটি হল কি ! আমার বাবা । সবার হৃদয়ে কি রয়েছে ? ব্যস্ আমার বাবা। সবার হৃদয়ে বাবার স্নেহের গান স্নেহের কবিতা সমায়িত রয়েছে । সবার হৃদয়ে একটাই গান বেজে চলেছে বাঃহ আমার হৃদয়ে বাবা। বাবা আর আমি , সবার হৃদয়ে এই রয়েছে তো তাইনা ! আমি আর আমার বাবা । দুইজনে হলেও এক । প্রত্যেকের হৃদয়ে এই একমাত্র বাবা সমায়িত আছেন। প্রত্যেকে নিজেকে জিজ্ঞাসা করো আমার হৃদয়ে কে ? কামাল তো এইটাই যে হৃদয় অনেক আছে কিন্তু সমায়িত আছেন কেবল একজনই । এইটাই তো হল কামাল । সবার হৃদয়ে একজনই , এমনই প্রিয় যাকে যতই ভুলতে চাইবে ততই ভুলতে পারবেনা । স্মৃতি যার বেড়েই চলেছে। এইটাই কামাল যে এত বিশাল সভা কি বলবে ! আমার বাবা ! সবার হৃদয়ে একজনের স্মৃতি রয়েছে , আমার বাবা , মিষ্টি বাবা , প্রিয় বাবা । আর এতে কত স্নেহ ভরা রয়েছে । সবার হৃদয়ে একমাত্র বাবা-ই সমায়িত আছেন। কতোজন বসে আছে !
কিন্তু হৃদয়ে আছে একজনই । সবাই কি জানে এইসময় এদের হৃদয়ে কে রয়েছে ? মেজরিটি হৃদয়ে একজনই আছে। যদিও অনেকে বসে রয়েছে কিন্তু এই সভা হল এমন যে হৃদয়ে একমাত্র বাবা-ই রয়েছেন । সবার হৃদয়ে কে আছেন ? আমার বাবা। আর বাবা কত প্রিয় ? যত লোক থাকুক কিন্তু মেজরিটি সবার হৃদয়ে বাবা-ই রয়েছেন । আমার বাবা, হৃদয়ে এমনভাবে আছেন যে হৃদয় থেকে বাইরে বের করা মুশকিল । সবাই ভালবেসে কি বলে , একে অপরের সঙ্গে কি কথা বলে ! আমার বাবা কেমন , আমার বাবা কি করেন ! আমার বাবা , আমার বাবা । গানও রয়েছে কিনা - গাইবে গান তাও হবে একটাই । তাহলে এখন এখানে বসে থাকা এত লোকের মধ্যে যদি হাত তোলানো হয় যে সবার হৃদয়ে কে রয়েছে ! সবাই বলবে আমার বাবা। সবাই এইরকম সোজা হাত তোলো। সবার লম্বা হাত কত মজাদার লাগে। বাইরে গায়না , কারণ বাইরে গাইলে তফাত হয়ে যাবে। বাকি সবার হৃদয়ে একজনই । সবার মন কি বলে ? আমার বাবা, আমার বাবা । আর সবাই এক বাবাকে স্মরণ করে খুশীর অনুভব করছে। দেখো সবার চেহারা দেখো । সবার হৃদয়ে একটাই গান বেজে চলেছে আমার বাবা মিষ্টি বাবা। এতজন হৃদয়ধারীদের হৃদয়ে কে আছেন ? আমার বাবা। আর মজা কত লাগে , যাই হোক কিন্তু আমাদের হৃদয়ে আছেন আমার বাবা, আমার বাবা। এমন সর্বদা আমার বাবা আমার হৃদয়ে আছেন , এই দেখেই সবাই খুশী । সমস্ত সভায় এতজন বসে আছে কিন্তু সবার হৃদয়ে আছেন একজনই , তাইনা ! হৃদয়ে সবার কে আছে ? বাবা।
একজনই হৃদয়ে আছেন । তুমিও বলবে আমার বাবা সেও বলবে আমার বাবা , আমার বাবা। কত মজা । তো সর্বদা এমনই হৃদয়ে বাবা আছেনই । কেউ দেখলে কি দেখতে পাবে , আমার বাবা বসে আছেন । চারিদিকে দেখো কে বসে আছেন! আমার অন্তরে বাবা বসে আছেন , আমার বাবা।
বাবা সর্বদা বলেন আমার বাবা এমন লুকিয়ে রাখো যেন কেউ বের করতে না পারে। সবার চেহারা দেখো এখন যারা বসে আছেন আমার বাবা এই হৃদয়ে আছে , তাহলে দেখো সবার চেহারা কেমন ! স্মিত হাসিতে ভরা। অন্তরে খুশীর ডান্স চলছে। আমার বাবা, এসেছেন, আমার হৃদয়ের বাবা । বলতেও কত মিষ্টি লাগে। আমার বাবা! তো এইভাবেই সর্বদা হৃদয়ে যা কিছু করো আমার বাবা ভুলে যেওনা । সবার হৃদয়ে একজনই । যদি কারো নাও থাকে তবুও বাস্তবে এই সভাটি কিসের ! হৃদয়ে অবস্থিত হৃদয়বান । সবার হৃদয়ে কে ? হৃদয়বান । এমনই বাবা চাইছেন যা কিছু করো আমার বাবা হৃদয়ে সমায়িত করে রাখো। সবার হৃদয়ে কে ? সম্পূর্ণ সভার হৃদয়ে এখন কি হবে ! মিষ্টি বাবা। এমন সভা যে হৃদয়ে একমাত্র হৃদয়বান । হৃদয়বান এক হৃদয়ধারী অনেক। সবার হৃদয়ে একমাত্র বাবা রয়েছেন , যতই কেউ বলুক না কেন । না , হৃদয়ে অন্য কিছু আছে , তাহলে থাকতে পারবেনা । আমার বাবা। কত মজা আছে সবার হৃদয়ে একজনই । বায়ুমন্ডল দেখো কত সুখময় , অতিন্দ্রীয় সুখের সভা দেখতে হলে দেখো। যদি কিছু হয় তবে সবার মন বলবে বাঃহ বাবা বাঃহ ! সবার হৃদয়ে কে রয়েছে ! আর মজা তো এই যে এত থেকেও , যদিও অন্য কেউও থাকবে মাঝে কিন্তু মেজরিটি এই সময়ে বাবা বাবা বলছে তো একমাত্র বাবা সবার হৃদয়ে আছেন। এতেই কত মজা রয়েছে । এমনই এই সভা দ্বারা ভাইব্রেশন কি আসছে? একজন বাবারই স্মরণ । তো সবাইকে জিজ্ঞাসা করা হলে তোমাদের হৃদয়ে কে রয়েছে ! সবাই বলবে আমার বাবা।
তো মজা হল কিনা ! সভা একটি কিন্তু একের মধ্যে এক , একটাই হল সভা , একজনই হলেন জাদুকর । সবার মনে কি গান বাজে ! বাঃ আমার বাবা বাঃ । বলো এখন । রোজ সকালে যখন তৈরী হয়ে যাও , এমনিতে তো সব কাজ করতে করতে বাবার স্মরণ থাকে তবুও যদি তৈরী হয়ে স্মরণ করে কাজ করতে বা কিছু করতে যাও তখন মজা কত হয় । এমন কেউ আছে যে আজ এখন , সত্যযুগে নয় এখন , বাবাকে মনে নেই । এমন আছে কেউ , যে বাবাকে মনে করতে পরিশ্রম করছে , আছে কেউ ? হাত তোলো। দেখো কত সুন্দর সভা । সম্পূর্ণ সভা কত সুন্দর । আর মজা আছে স্মরণে । মজাই তো আছে তাইনা ! আর কি চাই ? যদি কেউ জিজ্ঞাসা করে তোমার মনে কি ? তো কি বলবে ? বাবা । বাবাকে হৃদয় দিয়েছ । যখনই স্মরণ করবে আমার বাবা। তো একের স্মরণে মজা অনুভব হয় তো ? হয় কি ? কারণ একের স্মরণ কিনা , অনেকে নয় যে বলবে না জানি স্মরণে আসবে কি আসবেনা । এক বাবা আছেন। আর এই স্মরণের দ্বারা কি প্রাপ্তি নেই ? যার যা চাই , খুশী চাই , আনন্দ চাই , সবার মনে খুশীর ধারা বইছে কারণ এখন আমাদের সময়টাই হল খুশীর স্মরণ । তো এক সেকেন্ডে খুশী অনুভব হল ? নাকি পরিশ্রম লাগলো ? এতোটা পরিশ্রম নেই যতটা প্রেম রয়েছে । প্রত্যেকে নিজের নিজের আনন্দে বসে আছে। তো লাইফ আছে এতেই , যেখানে একের স্মরণ আছে , একমাত্র মনমনাভব !
এখন বাবাকেই স্মরণ করো আর সবকিছু ভুলে যাও, তো সেকেন্ডে সবাই করবে তো তাইনা ! পরিশ্রম আছে কি ! বাবা বলবেন এখনই ওমশান্তি । তো তোমরা কি এক সেকেন্ডে ওমশান্তি স্বরূপে টিকতে পারবে ? হ্যাঁ কি না ! মজা তখন আছে যখন এক সেকেন্ডে বলা মাত্রই এক সেকেন্ডে এখান থেকে ওখান থেকে হ্যাঁ রেসপন্ড আসবে। কারো না আসবে কারো হ্যাঁ সেটাও ঠিক নয়। যখন বাবা বলেন মনমনাভব তখন সবাই মনমনাভব হয়ে যাওয়া উচিত । এই রূপ হতে পারে তাইনা ! বাবা বলবেন চলো সবাই নিজের স্মরণের যাত্রায় সেকেন্ডে সবাই যেন পৌঁছে যায়। তোমরা সবাই যে বসে আছো এক সেকেন্ডে বাবার স্মরণে বসতে পারো তো নাকি ! আর মজা কত সবাই একের স্মরণে । কত সুখময় এই জীবন । বাঃহ । যারা ভাবে আমাদের বর্তমান জীবন সুখময় তারা হাত তোলো। আচ্ছা । দেখো , সামনে পিছনে সবাই নিজের চেহারা দেখো , কি দেখা যায় ! সবাই প্রেমপূর্ণ স্মরণে সমায়িত রয়েছে । এই অবস্থা যত সময় বলো হতে পারে কিন্তু প্র্যাক্টিস চাই। এখন সবার জন্যে বলা হয় এক সেকেন্ড নয় , এক মিনিটে সবাই এই নেশায় বাঃহ আমার অতিন্দ্রীয় সুখময় জীবন , যদি বাবা এমন বলেন তবে এক সেকেন্ডে এমন অবস্থায় স্থির হতে পারবে ? হাত তোলো। সবাই নিজের ডান হাত তোলো , এখানে এসে দেখো সভা কত সুন্দর দেখতে লাগছে। এই প্র্যাক্টিস চাই। যাই হোক , কোনো ব্যথা বা কোনো এমন কথা যাই হোক চেহারা যেন পাল্টে না যায় , হাসিতে যেন ভরে থাকে। এমন প্র্যাক্টিস চাই। আদেশ পাবে এখন অতিন্দ্রীয় সুখে বসে যাও তো বসতে পারবে ? এখন দুই মিনিট সবাই একরস অবস্থায় বসো। অতিন্দ্রীয় সুখের ধারায় বসে দেখো কত মজা হয়।
এই অতিন্দ্রীয় সুখের ঝুলায় ঝুলতে থাকা যে কতই সুখের । কোনও কথা হোক যা কিছু সামনে আসুক কিন্তু এই সুখ ভুলোনা , এইরকম হতে পারে কি ! হতে পারে ! তোমরা বলো হতে পারে কি , হয়েই আছে কারণ আমাদের জীবনে আর আছে কি ! তোমরা নিজের মনকে জিজ্ঞাসা করো , কি আছে ? নিজেই দেখো নিজের মনে , কোনো দুঃখ আছে , কোনো অশান্তি আছে ! যদি আছে তাহলে তার কারণ নিবারণ জিজ্ঞাসা করতে পারো। তো বাবা বলেন আমার বাচ্চা , এমন বলবে কিনা , আমার বাচ্চা আর খুশীতে থাকবেনা এমন তো হতে পারেনা , আমার বাচ্চারা মেজরিটি খুশীতে থাকবে। এখন মেজরিটি সত্যি করে বলো অন্তরে কোনো কথা আটকে নেই তো ! কেননা আমাদের জীবনে কি আছে । যদি পরিচয় দেয় তো কি দেবে । সুখ শান্তি আনন্দ প্রেম এই হল আমাদের জীবন। এমন আছে ? কখনও দেখো এখন এই জীবন আমাদের নয় , অন্য জীবন এল কেন । যখন বাবার হুকুম আছে , তো এখন এতেই থাকবে তুমি ছাড়বে কেন ! এই অবস্থা যে রয়েছে সুখময় জীবন এইরূপ সদা থাকা চাই। তাহলে তোমরা কয়জন আছো যারা ভাবে মেজরিটি এমনই থাকে ? তারা হাত তোলো । ভালই হাত তোলে। পুরুষার্থ করলে কত বড় কথা। আমরা যেমন নিজের অবস্থা স্থির করব তেমনই থাকবে। মালিক কে ! মালিক তো আমরাই কিনা ! শুধু এতেই অ্যাটেন্সন চাই । অ্যাটেন্সন এখানে ওখানে হয়ে যায় তো সেও চক্কর লাগিয়ে দেয়।
তো সারাদিনে এই অনুভব করা উচিত কেননা এই অভ্যাস অত্যন্ত জরুরি । যতই কথা আসুক , একরস অবস্থার ইশারা পেয়ে স্থির হও। এই অভ্যাস সারাদিনে প্রত্যেকের নিজের রিহার্সাল হওয়া উচিত । আচ্ছা - একঘন্টা এই অবস্থায় বসলে কোনো বড় কথা নয় , আমার অবস্থা কিনা । যদি না বসো তবে আমার অ্যাবসেন্স আছে। যদি এই অবস্থায় স্থিত থাকার চেষ্টা করো তো খুব ভাল , তোমাদের জীবন এমন অনুভব হবে যেন সুখময় শয্যাশায়ী । এই প্র্যাক্টিস নিশ্চয়ই থাকা উচিত । যা কিছুই হোক কিন্তু আমার অবস্থা আমার হাতে থাকা উচিত । এত সবাই বসে আছো , তো বললে সেইসময় নিজের অবস্থা স্থির থাকে। এই পুরুষার্থ নিজের দেখো , বা ভাবছ ও বসেছে আর এই বসেনি। নিজের হাতে হওয়া উচিত । স্থিতিতে স্থির হতে চাইলে হও তাইনা ! না হতে পারলে কি বলা হবে ? যোগী । আর ধীরে ধীরে এই প্র্যাক্টিস থাকলে যখন চাইবে তখন টিকতে পারবে। স্থির হওয়ার চেষ্টা সবাই করো তো নিশ্চয়ই সারাদিন । নিজের চেকিং নিজেই করবে। সারাদিন নিজের হাতেই রয়েছে । নিজের বুদ্ধিকে স্থির করা নিজের হাতেই আছে। আর করতেও পারো। এখন সবাই বসে নিজের শ্রেষ্ঠ অবস্থা অনুভব করেছ ? যে করেছে মন মানছে সে হাত তোলো। আচ্ছা । হাত তো সবাই তুলেছে। আচ্ছা , কারো বেশী কারো কম হয়েছে। কিন্তু যত সময় বলা হয় তত সময় নিশ্চয়ই হওয়া উচিত । সবাই এই ট্রায়াল করেছে, এই ট্রায়াল করতেই থাকো। যে কোনো সময়ে যদি এই অবস্থায় তৎক্ষণাত স্থির হতে পারো তবে তাকে যোগেশ্বরের লাইনে রাখা হবে।
যদি কেউ চায় যে এইসময় এমন বায়ুমন্ডলেও যেমন অবস্থায় আমি চাই স্থির হতে পারি , সে হাত তোলো। করতে পারো ? হাত তো অনেকেই তুলেছে। আচ্ছা , যদি এমন আছে , যখন চাইবে তখন আধা ঘন্টা যেন বসতে পারো। এই অভ্যাস মধ্যে মধ্যেই নিজেই করা উচিত । শুধু অ্যাটেন্সন দিতে হয় কারণ মাইন্ড কন্ট্রোলের যে পাওয়ার আছে , তাতে একটু করে এগোনো উচিত । যদিও এত সবাই একত্রে রয়েছে এইসময় অর্ডার পেয়েই আধা ঘন্টার , সোয়া ঘন্টার , যেন নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারো , এই অভ্যাসও থাকা উচিত । নিজের অবস্থা কখনও কেমনও হতে পারে কিন্তু অবস্থাও এমন হবে যে যেমন চাইব তেমন হবে। দিনের বেলায়ও যেন কন্ট্রোল করা যায় এমন প্র্যাক্টিস যেন থাকে। করতে পারবে , এতটা হতে পারবে। সাধারণ রূপে এখন বসে আছো এখন কন্ট্রোলের অর্ডার আসলো । এখন আধা ঘন্টা তোমরা এই অবস্থায় স্থির হতে পারো নাকি বারবার অ্যাটেন্সন দিতে হয়। যদি এই অভ্যাসও থাকে এই প্র্যাক্টিস যেন থাকে যে নিজেকে আটকাতে পারো। এমন যারা আটকাতে চাইলে আটকাতে পারবে তারা হাত তোলো । যে আটকাতে চাইলে সেই অবস্থায় স্থির হবে। এই প্র্যাক্টিস হওয়া উচিত কারণ সময় এমনই আসছে যা আদেশ পাবে সেইরকম কাজ করতে পারবে। আদেশ মানে আদেশ । এমন নয় আদেশ পাবে আর প্র্যাক্টিকালে সময় নেবে। এই অভ্যাস নিশ্চয়ই হওয়া উচিত দিনে যে কোনো ফ্রী সময়ে আদেশ করলে আদেশ পালন হবে। এমন অবস্থার পুরুষার্থ হওয়া উচিত । এই অভ্যাস জরুরি । চলো, দশ মিনিট ভাবলাম বসব আর পাঁচ মিনিট বসা হল যতই হোক কিন্তু আদেশ মানা জরুরী । তোমরা ভাবলে এখনই এমন হতে পারে ? আচ্ছা ।
সেবার টার্ন উত্তরপ্রদেশের , বেনারসের , পশ্চিম নেপালের , ১১ হাজার ইউপি থেকে , মোট ২৩ হাজার এসেছে :-
সবাই এমন পুরুষার্থ করছ , করতে থেকো কারণ আমাদের প্র্যাক্টিস হলে অন্যদের বলতে পারব। নাহলে বলতে লজ্জা হবে। এমন প্র্যাক্টিস হওয়া উচিত । কখনও কোনো সময় এমন আসতে পারে যে আমাদের পেপার দিতে হবে তাই এই প্র্যাক্টিস থাকা চাই। তো সবাই খুশী তো ? হাত তোলো। প্র্যাক্টিস করলে সহজ হয়ে যাবে, মুশকিল লাগবেনা । শুধু করতে থাকো। কোনো সময় এমন যখন একটু সময় পাবে। একটু সময়ই হোক , প্র্যাক্টিস চাই। এমন প্র্যাক্টিস ছাড়বেনা । এই প্র্যাক্টিস নিজেই নিজেকে করাতে থাকো। এই প্র্যাক্টিস করো যত সময় করতে চাও তত সময় করো। এখনতো সারাদিনের ক্লান্ত হবে , এখন বাবা করাবেনা। আরাম করে করো কিন্তু করো। যত টাইম চাও তত টাইমের ধীরে ধীরে অভ্যাস করো। আর হয়ে যাবে। বাবার বরদান রয়েছে ।
ডবল বিদেশী ভাই বোনেরা পঞ্চাশ দেশ থেকে ৬০০ জন এসেছে :- ( ছোট বাচ্চারা গান গাইছে ) জোরে গাও। ( আমার সঙ্গে চলছে বাবা)
দাদিদের সঙ্গে :-
তোমরা ভাবো কি , হতে পারে ? যদি অ্যাটেন্সন রাখবে তো কি হবেনা ? সব হতে পারে কিন্তু দৃঢ় নিশ্চয় থাকলে। করতেই হবে। ভাবো এখন শুরু না করলে হঠাৎ বললে , কাল থেকে এক ঘন্টা করবে , তাহলে করতে পারবে কি ? যে করতে পারবে হাত তোলো । কম আছে। কোনো ব্যাপার না।
বাবা নতুন বছর ? ( নির্ব্যার ভাইকে ) আপনি হ্যাপী নিউ ইয়ার করুন তাহলে সবাই করবে। সবাই খুবই উৎসাহের সঙ্গে করেছে, খুব ভাল। হ্যাপী নিউ ইয়ার । ( বৃজমোহন ভাই বললেন - দাদি জানকী জীর ১০১ তম বার্থ ডে কালকে সন্ধ্যায় পালন হবে , দাদিজীকে সবার দিক থেকে অনেক অভিনন্দন । )
( রমেশ ভাই ট্রমা সেন্টার , শান্তিবনে আছেন , বাপদাদাকে ওনার স্মরণ) রমেশ ভাইকে নতুন বছরের অনেক অনেক স্মরণ দেবে। ডাক্তারেরা যে ট্রীটমেন্ট দিয়েছেন সেসব চলুক । বাচ্চা বাপদাদার নজরে আছে। বাপদাদা শক্তি দিচ্ছেন ।
( বাপদাদা সবাইকে নতুন বছরের অভিনন্দন দিচ্ছেন )
সবাইকে নতুন বছরের অভিনন্দন শুনে ভাল লেগেছে তাইনা । সবাই ভেতরে খুশী হচ্ছে । শুধু কি , সময় এমন যে সবার খিদে পেয়েছে হয়তো তাই যাচ্ছে । নতুন বছরে যে এখন শুরু হচ্ছে , তোমাদের সবাইকে অনেক অভিনন্দন । সবাই অভিনন্দন পেয়েছ ? এই অভিনন্দন সবাই সামলে রেখো আর অন্যদেরও দিও। ( নির্ব্যার ভাই বললেন এই অভিনন্দন যে বাপদাদা আমাদের সবাইকে দিয়েছেন তার জন্যে তোমাদের সবার দিক থেকে বাপদাদাকে কোটি কোটি ধন্যবাদ )
দাদি বললেন - বাবা তোমাদের সবাইকে অনেক স্নেহপূর্ণ স্মরণ দিয়েছেন । তোমাদের দিক থেকে বাবাকে অভিনন্দন জানাই।