08-10-17 Today’s Avyakt Murli *30-11-2006*
৩০-১১-২০০৬ ওম্ শান্তি অব্যক্ত-বাপদাদা মধুবন
*জ্বালামুখী তপস্বা দ্বারা আমিত্ব ভাবের পুচ্ছকে জ্বালিয়ে দিয়ে বাপদাদা সমান হও তবেই সমাপ্তি সমারোহ সমীপ হবে*
৩০-১১-২০০৬ ওম্ শান্তি অব্যক্ত-বাপদাদা মধুবন
*জ্বালামুখী তপস্বা দ্বারা আমিত্ব ভাবের পুচ্ছকে জ্বালিয়ে দিয়ে বাপদাদা সমান হও তবেই সমাপ্তি সমারোহ সমীপ হবে*
আজ অখুট অবিনাশী খাজানার মালিক বাপদাদা তাঁর চতুর্দিকের সম্পন্ন বাচ্চাদের জমার খাতা দেখছেন । তিন প্রকারের খাতা দেখছেন - এক হল নিজের পুরুষার্থ দ্বারা শ্রেষ্ঠ প্রালব্ধ জমার খাতা । দ্বিতীয় হল সদা সন্তুষ্ট থাকা এবং সন্তুষ্ট করা, এই সন্তুষ্টতা দ্বারা আশীর্বাদের (দুয়া) খাতা। তৃতীয় হল মন্সা-বাচা-কর্মণা, সম্বন্ধ-সম্পর্ক দ্বারা অসীমের (বেহদের) নিঃস্বার্থ সেবা দ্বারা পুণ্যের খাতা। তোমরাও তো সবাই এই তিন প্রকারের খাতাকে চেক করেই থাকো। এই তিনটি খাতায় কতটা জমা হয়েছে! জমা হয়েছে কি হয়নি তার চিহ্ন হল - সদা সকলের প্রতি, নিজের প্রতি সন্তুষ্টতা স্বরূপ, সকলের প্রতি শুভ ভাবনা, শুভ কামনা এবং সদা নিজেকে হাসিখুশি, ভাগ্যবান - এই স্থিতিতে নিজেকে অনুভব করা। তো চেক করো - দু'টি খাতার চিহ্ন গুলি নিজের মধ্যে অনুভূত হয়। এই সমস্ত খাজানাকে জমা করবার চাবি হল - নিমিত্ত ভাব, নির্মাণ ভাব, নিঃস্বার্থ ভাব। চেক করতে থাক। চাবির নম্বর জানা আছে তো? চাবির নম্বর হল - তিন বিন্দু। থ্রি ডট। এক হল আত্মা বিন্দু, দ্বিতীয় বাবা বিন্দু, তৃতীয় - ড্রামাতে ফুল স্টপ, বিন্দু। এই চাবি তো সবার কাছে আছে, তাই না ! খাজানাকে খুলে দেখতে থাকো তাই না ! এই সকল খাজানার বৃদ্ধির বিধি হল - দৃঢ়তা। দৃঢ়তা থাকলে কোনো কাজেই এই সংকল্প চলবে না যে হবে কি হবে না। দৃঢ়তার স্থিতি হল - হয়েই আছে, তৈরি হয়েই আছে। তৈরি হবে, জমা হবে কি হবে না ! না। করে তো থাকি, হওয়া তো উচিত... তো তো-ও নয়। দৃঢ়তা যার রয়েছে সে - নিশ্চয়বুদ্ধি, নিশ্চিন্ত এবং নিশ্চিত অনুভব করবে।
বাপদাদা আগেও শুনিয়েছেন - যদি অধিক থেকে অধিক সমস্ত খাজানার খাতা জমা করতে চাও, তবে মনমনাভব - র মন্ত্রকে যন্ত্র বানিয়ে দাও। যার সাহায্যে সদা সর্বদা বাবার সাথের আর বাবা পাশে রয়েছেন - এই অনুভব স্বতঃই অনুভূত হবে। পাশে থাকাই হল তিন রূপের পাশ - এক হল পাশে থাকা, দ্বিতীয় হল যা হয়ে গেছে তা পাস হয়ে গেছে আর তৃতীয় হল পাশ উইথ অনার হওয়া। যদি তিনটি পাশই থাকে, তবে তোমরা সবাই রাজ্য অধিকারী হওয়ার ফুল পাশ হলে। তো ফুল পাশ নিয়ে নিয়েছ ? নাকি নিতে হবে ? যারা ফুল পাশ নিয়ে নিয়েছ তারা হাত তোলো। নিতে হবে না, নিয়ে নিয়েছ? প্রথম সারিতে যারা বসে আছেন তারা হাত তুললেন না, নেবেন আপনারা? ভাবছে - এখনও তো সম্পূর্ণ হইনি, তাই। কিন্তু নিশ্চয়বুদ্ধি তো বিজয়ীই, নাকি বিজয়ী হতে হবে ? এখন তো সময়ের আহ্বান, ভক্তদের আহ্বান, নিজের মনের আওয়াজ আসছে? এখনই সম্পন্ন এবং সমান হতেই হবে। নাকি এই রকম ভাবছ যে হয়ে যাব, ভাববো, করব.....! এখন সময়ানুসারে সব সময় এভাররেডির পাঠ পাক্কা রাখতেই হবে। যখন 'আমার বাবা' বলেছ, প্রিয় বাবা, মিষ্টি বাবা বলেই ভাবো, তবে যে প্রিয় হয়, তার সমান হওয়া কঠিন হয় না। বাপদাদা দেখেছেন যে, সময় প্রতি সময় সমান হওয়ার পথে যে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়, সেটা সকলের কাছে একটি প্রসিদ্ধ শব্দ, সকলেই জানে, সকলেরই সেই অনুভব আছে। তা হল - "আমি" আর "আমার" ভাব। সেইজন্য বাপদাদা আগেও বলেছেন যে যখনই 'আমি' শব্দটি বলবে, কেবলমাত্র আমি বলবে না, বলবে - "আমি আত্মা"। জমজ শব্দ বলো। 'আমি' শব্দটি কখনো অহং ভাব নিয়ে আসে, বডি কনশাস ওয়ালা আমি, আত্মা ওয়ালা নয় । কখনো অহংকার নিয়ে আসে, কখনো অপমানও নিয়ে আসে। কখনো হতাশাও নিয়ে আসে। সেইজন্য এই বডি কনশাসের আমিত্ব ভাবকে স্বপ্নেও আসতে দেবে না।
বাপদাদা দেখেছেন যে, স্নেহের সাবজেক্টে মেজরিটি পাশ। তোমাদের সবাইকে কে এখানে নিয়ে এসেছে? সবাই তা সে প্লেনেই আসো বা ট্রেনে আসো কিম্বা বাসে, কিন্তু বাস্তবে বাপদাদার স্নেহের বিমানেই এখানে এসে পৌঁছেছ। তো যেমন স্নেহের সাবজেক্টে পাশ, এখন এই কামাল করো সমান হওয়ার সাবজেক্টেও পাশ উইথ অনার হয়ে দেখাও। পছন্দ হল? সমান হওয়া পছন্দ তো ? পছন্দ, কিন্তু হওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা কঠিন ! সমান হয়ে যাও তো সমাপ্তি সামনে আসবে। কিন্তু কখনো কখনো মনে মনে প্রতিজ্ঞা করতে থাক, হতেই হবে। তো প্রতিজ্ঞা দুর্বল হয়ে যায় আর পরীক্ষা মজবুত হয়ে যায়। চায় সবাই, কিন্তু চাওয়া হয় এক আর প্র্যাক্টিকলে হয়ে যায় আরেক। কেননা প্রতিজ্ঞা তো করো, কিন্তু তাতে দৃঢ়তার অভাব হয়ে যায়। সমানত্ব দূর হয়ে যায়, সমস্যা প্রবল হয়ে যায়। তো এখন কি করবে ? বাপদাদার একটি বিষয়ে খুব হাসি পাচ্ছে। কোন্ বিষয়ে ? মহাবীর, কিন্তু শাস্ত্রে যেমন হনুমানকে মহাবীরও বলেছে, আবার পুচ্ছও দেখিয়েছে। এটা হল আমিত্ব ভাবের পুচ্ছ।যতক্ষণ না মহাবীর এই পুচ্ছকে না জ্বালাবে তো লঙ্কা অর্থাৎ পুরানো দুনিয়াও সমাপ্ত হবে না। তো এখন এতে আমি-র পুচ্ছকে জ্বালাও, তবেই সমাপ্তি সমীপ আসবে। জ্বালাবার জন্য জ্বালামুখী তপস্বা চাই, সাধারণ স্মরণ নয়। জ্বালামুখী স্মরণের আবশ্যকতা রয়েছে। সেইজন্য জ্বালাদেবীরও স্মৃতি চিহ্ন রয়েছে। তোমরা বলবে সঙ্গমযুগ খুব ভালো, তবে সমাপ্তি কেন হবে ? কিন্তু তোমরা হলে বাবার সমান দয়ালু কৃপালু, দয়াবান আত্মা, তো বর্তমানের দুঃখী আত্মাদের আর ভক্ত আত্মাদের উপরে হে দয়াবান আত্মারা দয়া করো। মার্সিফুল হও। দুঃখ কষ্ট বেড়েই চলেছে, দুঃখী জনেদের প্রতি কৃপা করো, তাদেরকে মুক্তিধামে তো পাঠাও। শুধুমাত্র বাণীর দ্বারা সেবা নয়, বরং এখন প্রয়োজন মন্সার। আর তার সাথে সাথে বাণীর সেবাও চলুক। কেবল সেবার চান্স মিলুক তবেই করব, এমন ভেব না। চলতে ফিরতে নিজের চেহারা এবং চলন দ্বারা বাবার পরিচয় দিতে থাক। তোমার চেহারা যেন বাবার পরিচয় দেয়। তোমার চলন যেন বাবাকে প্রত্যক্ষ করাতে থাকে। তো এমন সদা সেবাধারী ভব ! আচ্ছা ।
বাপদাদার সামনে স্থূল ভাবে তো তোমরা সবাই বসে আছ, কিন্তু সূক্ষ্ম স্বরূপে চতুর্দিকের বাচ্চারা হৃদয়ে রয়েছে। তাদের দেখতেও পাচ্ছি, শুনতেও পাচ্ছি। দেশ বিদেশের অনেক বাচ্চা ই-মেল দ্বারা, পত্র দ্বারা, সন্দেশ (খবর পাঠিয়েছিল) স্মরণের ভালোবাসা পাঠিয়েছে। সকলকে নাম সহ বাপদাদার কাছে স্মরণ পৌঁছে গেছে আর বাপদাদা মনে মনে সকল বাচ্চাদেরকে সামনে দেখে গীত গাইছেন - বাহ বাচ্চারা বাহ ! এই মুহূর্তে প্রত্যেকের কথা ইমার্জ রূপে স্মরণে রয়েছে। সব সন্দেশী (যারা বতনে বাপদাদার কাছে সংবাদ নিয়ে যায় এবং নিয়েও আসে) আলাদা আলাদা ভাবে বলে অমুকে স্মরণ করেছে, অমুকে স্মরণ করেছে, কিন্তু বাবা বলেন, বাবার কাছে তো যখনই সংকল্প করে থাক, সাধন দ্বারা তো পরে পৌঁছায়, কিন্তু স্নেহের সংকল্প সাধনের আগেই পৌঁছে যায়। ঠিক আছে না ! অনেকের কাছেই তো সেই স্মরণ পৌঁছেও গেছে। আচ্ছা।
আচ্ছা - আগে হাত তোলো যারা প্রথম বার এসেছ। এই সেবাতেও প্রথম বার এসেছে। আচ্ছা বাপদাদা বলেন যে, অবশ্যই আসবে, তোমাদের আসারই তো মরসুম এটা। আচ্ছা এখন বলো।
ইন্দোর জোন (আরতি বোন) - এর সেবাধারী এসেছে : - (সকলের হাতে "আমার বাবা" র হার্টের সিম্বল) হাত তো খুব সুন্দর নাড়াচ্ছে, কিন্তু হৃদয়কেও নাড়াও। কেবল সব সময় স্মরণে রাখবে, কখনো ভুলবে না "আমার বাবা"। ভালো চান্স নিয়েছ, বাপদাদা তো সব সময়ই বলেন, যারা হিম্মৎ রাখে বাপদাদা তাদের পদমগুণ সহায়তাও করেন। তো হিম্মৎ রেখেছ তো ! ভালো করেছ। ইন্দোর জোন রয়েছে। খুব ভালো, ইন্দোর জোন সাকার বাবার লাস্ট স্মৃতির স্থান। খুব ভালো। সবাই খুব খুশী হয়েছে, তাই না ! গোল্ডেন লটারি লাভ হয়েছে। জোনের সেবা প্রাপ্ত হলে সকল সেবাধারীদের সুযোগ হয়ে যায়, এতজন যাবে, কি এতজনকে দেখো এনেছি। এটাও জোন গুলির কাছে ভালো চান্স, যত সংখ্যক আনতে চাও আনো। তো তোমাদের সবাইকে অল্প সময়ে পুণ্যের খাতা কত বিশাল পরিমাণে জমা হয়ে গেল। যজ্ঞ সেবা মন থেকে করা, অর্থাৎ নিজের পুণ্যের খাতা তীব্র গতিতে বৃদ্ধি করা। কেননা সংকল্প, সময় এবং শরীর - তিনটিই সফল করেছ। সংকল্পও চলবে তাও সেবার, সময়ও যজ্ঞ সেবাতে ব্যতীত হল আর শরীরও যজ্ঞ সেবাতে অর্পিত । তো সেবা হল নাকি মেওয়া? প্রত্যক্ষ ফল কারো কাছে যজ্ঞ সেবা করবার সময় কোনো ব্যর্থ সংকল্প এসেছে ? এসেছে কারো কাছে ? খুশিতে ছিলে আর খুশি বিতরণ করেছ। তো এখানে যেটা গোল্ডেন অনুভব করলে, এই অনুভবকে সেখানেও ইমার্জ করে বৃদ্ধি করতে থাক। কখনও কোনও মায়ার সংকল্পও যাতে না আসে, মনের বিমানে শান্তিবনে পৌঁছে যেও। মনের বিমান আছে তো ! সকলের কাছে মনের বিমান আছে। বাপদাদা প্রত্যেক ব্রাহ্মণকে জন্মের সময়ই সওগাত রূপে শ্রেষ্ঠ মনের বিমান দিয়েছেন। এই বিমানে বেশি পরিশ্রম করতে হয় না। স্টার্ট দেবে তো "আমার বাবা", ব্যস। বিমান চালানো আসে তো ! তো যখনই কিছু হবে মধুবনে চলে এসো। *ভক্তি মার্গে চার ধাম যাত্রা যারা করে তারা নিজেদেরকে মহা ভাগ্যবান মনে করে। আর মধুবনেও চারধাম রয়েছে, তো চারধাম করেছ ? পান্ডব ভবনে দেখো, চারধাম রয়েছে। যারাই আসো পান্ডব ভবনে তো গিয়েই থাকো তাই না ! এক হল শান্তি স্তম্ভ, মহাধাম, দ্বিতীয় হল বাপদাদার কামরা, সেটা হল স্নেহের ধাম । আর তৃতীয় হল ঝোপড়ি, সেটা হল স্নেহ মিলনের ধাম আর চতুর্থ হল - হিস্ট্রি হল। তো তোমরা সবাই চার ধাম করেছ ? তাহলে তো মহান ভাগ্যবান হয়েই গেলে। এখন থেকে যে কোনো ধামকে স্মরণ করবে - যখনই উদাস হবে তো ঝোপড়িতে রুহরিহান করতে চলে যেও। শক্তিশালী হতে চাইলে শান্তি স্তম্ভে পৌঁছে যেও আর ওয়েস্ট (ব্যর্থ সংকল্প) থটস খুব বেশি হলে, খুব তীব্র হলে হিস্ট্রি হলে পৌঁছে যেও। সমান হওয়ার দৃঢ় সংকল্প উৎপন্ন হলে বাবার কামরায় চলে যেও*। খুব ভালো, সকলে গোল্ডেন চান্স নিতে থাকো। আচ্ছা। হিম্মৎবান অনেকে রয়েছে।
ক্যাড গ্রুপ (CAD) : - (হৃদয়বানেরা বসে রয়েছে, সকলে মিলে খুব ভালো কনফারেন্স করেছে) :- ভালো কাজ করেছ। নিজেদের মধ্যে মিটিংও করেছ আর প্রেসিডেন্টেরও ইচ্ছা যে এই রকম কাজই হওয়া উচিত। তো তারও যেমন ইচ্ছা রয়েছে, তাকে সাথে নিয়ে এগিয়ে যাও। আর তার সাথে সাথে ব্রাহ্মণদেরও মিটিং রয়েছে, তাতেও নিজেদের প্রোগ্রামের সমাচার শুনিয়ে মতামত নিলে সকল ব্রাহ্মণদের মতামত নিলে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। বাদবাকি সব কাজই ঠিক আছে, করতে থাকো, ছড়িয়ে দিতে থাকো আর ভারতের বিশেষত্ব প্রকট করতে থাকো। মেহনত তো ভালোই করছ। প্রোগ্রামও ভালোই করেছ আর হৃদয়বানেরা নিজেরা অনেক বড় হৃদয়মত্তার পরিচয় দিয়ে২, তার জন্য অভিনন্দন। আচ্ছা।
ডবল বিদেশী ভাই বোনেরা : - খুব ভালো। প্রতিটি টার্নে বিদেশীদের আসা এই সংগঠনকে শোভা মন্ডিত করে তোলে। ডবল বিদেশীদের দেখে সকলের উৎসাহ আরো বেড়ে যায়। সব ডবল বিদেশী ডবল উৎসাহ উন্মাদনার সাথে উড়ে চলেছে। চলছে শুধু না, উড়ছে, এমনই। ওড়ার দলে? নাকি চলার দলে ? সদা উড়তে থাকো । চলবে না যারা (উড়বে) তারা হাত তোলো আচ্ছা।
আচ্ছা চারিদিকের চিন্তা থেকে বিমুক্ত বেফিকর বাদশাহদেরকে, সদা বেগমপুরের বাদশাহ স্বরূপে স্থিত বাচ্চাদেরকে, সকল খাজানাতে সম্পন্ন রিচেস্ট ইন দ্য ওয়ার্ল্ড বাচ্চাদেরকে, সদা উৎসাহ - উদ্দীপনার পাখনায় উড়তি কলার বাচ্চাদেরকে, সদা সমাপ্তিকে সমীপে আনতে সক্ষম বাপদাদার সমান বাচ্চাদেরকে বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন, হৃদয়ের আশিস, বরদাতার বরদান এবং নমস্কার।
ওম শান্তি