31-12-17 Avyakt Prabhu Milan
৩১-১২-১৭ ওম্ শান্তি "অব্যক্ত-বাপদাদা" মধুবন
*"নতুন বছরের সমাপ্তি বর্ষ, শ্রেষ্ঠ বর্ষ এবং দুনিয়াকে জাগ্রত করবার বর্ষ, এই রূপে পালন করো"*
৩১-১২-১৭ ওম্ শান্তি "অব্যক্ত-বাপদাদা" মধুবন
*"নতুন বছরের সমাপ্তি বর্ষ, শ্রেষ্ঠ বর্ষ এবং দুনিয়াকে জাগ্রত করবার বর্ষ, এই রূপে পালন করো"*
*ওম্ শান্তি।* সকলে যারাই বসে আছ, সকলেই একই পরিবারের। এমন পরিবারের কথা কখনো শুনেছ, না দেখেছ? না। এমন অলৌকিক পরিবার এখনই দেখছ এবং এখনই সবাই ভবিষ্যতের জন্য তৈরী হচ্ছ। তো সকলে নতুন বছর, নতুন সাল পালন করবে। এখন তোমাদের সেই নতুন দুনিয়া আসছে, কী অপূর্ব! তোমরাও সকলে ভবিষ্যৎ পরিবারের পাত্র হিসেবে প্রস্তুত, তা দেখা যাচ্ছে। তো সকলকে নতুন বছরের জন্য অভিনন্দন, অভিনন্দন, অভিনন্দন ।
নতুন বছরে নতুন কিছু তো দেখাতেই হবে। তবে এমন ভাবে দেখাও যে জন্ম - জন্ম তার প্রালব্ধ আমাদের সাথে যেন থাকে।
(নির্বৈর ভাই এবং বৃজমোহন ভাই বাপদাদার কাছে নতুন বছরের জন্য বিশেষ প্রেরণার বিষয়ে জানতে চাইলেন। যেমন নতুন বছরকে কি নতুন নাম দেওয়া যায়, বিশেষ কী অ্যাটেনশন রাখতে হবে, তাতে পুরুষার্থ কী হবে?)
নতুন বছরকে সমাপ্তি বছর, শ্রেষ্ঠ বছর এবং দুনিয়াকে জাগানোর বছর হিসেবে পালন করে আর দেখা যাক যে এই বছর নতুন কি কামাল দেখায়। যে সমস্ত ব্রাহ্মণের রয়েছে, তারা সকলেই এই উদ্দীপনাতেই রয়েছে এরপর কী হবে! তারা জানেও যে কী হবে! এখন তো নতুন দুনিয়ার সবাই স্বপ্ন দেখছে যে এখন নতুন বছর, নতুন রীতি, নতুন প্রীতি, সব নতুন ভাবে বদলে যাচ্ছে। যেমন যুগ পরিবর্তন হচ্ছে, তেমনই যুগের সাথে সাথে সব রীতি - নীতি, আদব-কায়দা সবই সেই অনুযায়ীই চলবে। তো আজকে নিজেদের নতুন জগতে যাওয়ার জন্য এই সংকল্প করতে হবে যে আমাকে পাশ তো হতেই হবে। দুটি পাশ। একটি হল পাশ। পাশ বা পাশে (নিকটে) যাওয়ার আর দ্বিতীয় পাশ হল পরীক্ষায় পাশ। সেটাও পাশ তো পাবেই । পাশ তো তোমরা পাবেই, তবে পাশের সাথে সাথে বাবা এটাও চান যে প্রতিটি বাচ্চা যে ভাবেই হোক পাশ যেন অবশ্যই করে। এই সময়টাই হল পাশ করবার। এর জন্য এখন নিজেকে নিজে চেক করো আর ভবিষ্যতের উপরে অ্যাটেনশন দাও। পাশ করা, অর্থাৎ সব কিছু থাকা সত্ত্বেও ভবিষ্যৎ যেটা সামনে রয়েছে তাতে পাশ করতে হলে এতো পুরুষার্থ করো যাতে এই ভবিষ্যতই আমাদের সাথে থাকে আর সকলের মুখ থেকে এটাই নির্গত হয় যে - পাশ পাশ পাশ । সকলের চেহারা এটাই বলছে যে সকলে এখনও পর্যন্ত যতটুকু পুরুষার্থ করেছ, আগে করেছ বা করোনি, সেটা অন্য ব্যাপার, তবে এখন ফুল পাশের এইম রেখেছ এবং ব্রাহ্মণই পাশ করবে। তোমরা হলে ব্রাহ্মণ । তো ব্রাহ্মণদের এটাই হল সর্ব প্রথমে সওগাত। আর সমগ্র সভার মধ্যে এই উদ্দীপনাই যদি থাকে, এখন যদি তাড়াতাড়ি পাশ হয়ে যায় সকলে তবে কতো খুশি হবে। সকলেই খুশি যে এখন আমরা পরিবর্তিত হব ।
(নতুন বছরের জন্য দেশ বিদেশের ভাই বোনেদের জন্য বাবা প্রেরণা কী হবে? সবাই শুনতে চায়)
সবাই নিজেকে কী মনে করে! মনে করে যে আমাদের তো অধিকার তো আছেই। কিন্তু ভাবে যে কী জানি কী হবে? কীভাবে হবে! তার চিন্তন চললেও সেটা স্থায়ী যেন না হয়। এটা স্থায়ী হলে সেটা ঠিক নয়। এখন তো আমাদেরকে রাজ্যভাগ্য নিতে হবে। প্রথমে নিজের উপরে রাজত্ব, অন্যদের উপরে তো থাকবেই। এটা তো প্রসিদ্ধ হয়ে উঠছেই যে নিজের (স্ব) এর রাজ্য অনেক বড়, আর সকল প্রশ্নই এটাকে কেন্দ্র করেই নাকি আর দ্বিতীয় কোনো বিষয় সামনে রয়েছে? যেমন এখনকার রাজত্ব, এর থেকেও মজবুত রাজত্ব তোমাদের জন্য আসছে। প্রত্যেকে সেই ভবিষ্যতকে দেখে খুব খুশি হচ্ছে এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রেরণা নিচ্ছে। বাপদাদাও বাচ্চাদেরকে দেখে খুশি হচ্ছেন এবং মনে করেন যে অনেক কিছু পাওয়া হয়ে গেছে আর পেতেই হবে।
*সেবার টার্ন মহারাষ্ট্র, মুম্বই, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানার। ১৫ হাজার সেবাধারী এসেছে, টোটাল ২৫ হাজার, ৬০০ ডবল বিদেশী ভাই বোন রয়েছে :*
সবাই উৎসাহ উদ্দীপনায় রয়েছে। বাপদাদাও বাচ্চাদেরকে দেখে খুব খুশি যে প্রতিটি বাচ্চা পুরুষার্থ করে নিজের বা বাবার নাম প্রসিদ্ধ করছে।
আজ বাবা দেখছিলেন যে কে কে কত দূর পর্যন্ত পৌঁছেছে! পৌঁছেছে, পুরুষার্থও ভালোই করেছে। সামনে বিজয়ও রয়েছে। বাবা দেখেছেন যে সকলে সামনে যে লক্ষ্য রেখেছে, তা প্র্যাক্টিকলে করে দেখাবে। সকলের মধ্যেই এই উদ্দীপনা রয়েছে। এই উদ্দীপনাতেই এই গ্রুপ এগিয়ে যাবে । প্রত্যেক বাচ্চারই বিজয় সুনিশ্চিত। বিজয় তো নিশ্চিত, কিন্তু এই বিজয় নিজের মধ্যে আত্ম বিশ্বাস এবং পরিবারের মধ্যে নিশ্চয়কে বাড়িয়ে দেয়। এই দুটি বিষয়ই তোমাদের রাজত্বে কাজে আসবে।
(সংস্কার মিলনের জন্য অনেক পুরুষার্থ করা হয়, তবুও এখনও সফল নয়। সেই সফলতা কীভাবে আসতে পারে? বুদ্ধিকে বেহদে কী ভাবে নিয়ে যেতে হবে যার ফলে এই সব বিষয়ের উর্ধ্বে ওঠা যাবে)
সকলের কাছে লক্ষ্য আছে, প্ল্যান আছে। এখন সেই প্ল্যানের উপরে বেশি অ্যাটেনশন রাখো। তার ফলে সকলের কাছে সেটার আভাস যাবে। আভাস যাতে যেতে পারে তার জন্য এটার উপরে একটু বেশী অ্যাটেনশন দিতে হবে যে আমাদের মনে পরিবারের প্রতি যে ভালোবাসা রয়েছে, পরিবারের ভালোবাসা এই সঙ্গমেই বেশি করে অনুভব করতে পারবে। এরপরে তো ন্যাচারাল হয়ে যাবে।
এটাই লক্ষ্য রাখো যে হতেই হবে। সকলে এটাই ভাবছে যে এই বিষয়ের উপরেই কেন ভাবছি। আমাদের যে পাঠ সেটা তো ঠিকই আছে, আর যারা পড়বে তারাও ঠিকই আছে, তাহলে এই প্রশ্ন তো আসতেই পারে না। এখন এটাই লক্ষ্য রাখো যে আমরা হবই। এতে তোমার পার্ট কেবল সহযোগী হওয়ারই নয়, নিজেকেও যোগ্য বানাতে হবে। নিজের উপরে অ্যাটেনশন দেওয়া সব চেয়ে জরুরী। আর বাবাও এটা লক্ষ্য করেছেন যে সবার এই লক্ষ্যের প্রতিই অ্যাটেনশন রয়েছে যে হতেই হবে। তৈরী তো হচ্ছে, তবে পুরুষার্থ অনুযায়ী নম্বর নেবে। কিন্তু সবার আগে এই বিষয়ে নজর দাও। যেমন বাবা জিজ্ঞেসা করেন, তেমনি নিজেরাও নিজেদের মধ্যে রুহরিহান করে রাজধানীর যে সিট তা অবশ্যই নেবে। তো এই সংকল্প রাখো যে এখন রাজধানীতে কোন্ সিটটা নেবে!
(বৃজমোহন ভাইকে দেখে বাবা বললেন)
এখন দিল্লির রাজধানীতে বসে তো আছ, কিন্তু এখন দিল্লি রাজধানীর সাথে ভবিষ্যৎ রাজধানীও স্মরণে রাখতে হবে। (বাবা বোনেরা আমাদের থেকেও আগে নম্বর নেয়) সব সময়ই দেখা গেছে যে যখন রেস হয় না! তখন মাতারা, কন্যারা এই নম্বর নিয়ে নেয়। ফাইনাল যখন হয় তখন এই রেজাল্টই আসে। কিন্তু তোমাদের কাছেও লক্ষ্য রয়েছে যে আমাদেরও নম্বর নিতে হবে এবং পাশ হতে হবে। তখন বাপদাদা আর ড্রামা দুটোর দিকেই খেয়াল থাকে।
(ফলো ফাদার কীভাবে করব? ফলো ফাদারের জন্য যদি অ্যাটেনশন থাকে তবে প্র্যাক্টিকল লাইফে সব কিছু প্র্যাক্টিকল দেখতে পাওয়া যাওয়া উচিত। তো বাবা যেমন এখন চান, সেই রকমই হচ্ছে, টাইম মতো সব ঠিক হয়ে যায়, তবে সর্বদা যদি ব্যাপারটি এই রকমই থাকে। সেটাও হচ্ছে এবং হবেও সেই জন্য এই বিষয়েও কোনো চিন্তা নেই। সবাই পুরুষার্থ করছে এবং এখান সকলের বুদ্ধিতে এটাই রয়েছে যে আমি অবশ্যই নম্বর নেবো। হয়ে যাবে। প্রস্তুতি হয়ে গেছে এ তো হয়েই আছে। বাকি মাঝে মাঝে একটু আধটু রূপ বদলে যায়। তো সেই বদলে যাওয়া রূপের দিক থেকে কোনো না কোনো দিক থেকে এমন কিছু হয়, তারপর ঠিক হয়ে যায়। সেইজন্য বাপদাদাও এখন বলবেন না। কেননা এখন পুরুষার্থের স্বরূপ দেখা যাচ্ছে। এমন নয় যে দেখা যায় না। দেখা যায়, কিন্তু সব সময় দেখা যাচ্ছে না। এক এক সময় এক এক রকম। এখন এটাকে স্থির করো আর সমস্ত জোশ দেখাও যে আমরা সবাই প্রস্তুত পেপার দেওয়ার জন্য। সকলে পেপার দেওয়ার জন্য প্রস্তুত? সবাইকে জিজ্ঞেসা করো। পেপার দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হলে প্রাপ্তি কতটা সে বিষয়েও নিশ্চয়ই জানা আছে। সেই নেশা সব সময় থাকছে না। মাঝে মাঝে কিছু সময়ের জন্য থাকে, কারণ পুরুষার্থ করছে, কিন্তু এই নেশা যাতে সব সময় থাকে, এখন এর অভ্যাস প্রয়োজন । একটু অ্যাটেনশন দিতে হবে। পড়া যে। পড়াতে তো অ্যাটেনশন দিতেই হয়। তো সকলকে নতুন বছরের অভিনন্দনও এবং নতুন বছরে কদম আগে বাড়ানোর বরদানও থাকল।
নিজেকে বাবা সমান ভরপুর আর সদা প্রস্তুত থাকবে। যেটুকু সময় রয়েছে সেই সময়ের মধ্যে নিজেকে এমন ভাবে তৈরী করো, বাবা যেমনটি চান। যেমন বাবা সর্বগুণ সম্পন্ন, রাজমুকুট (তাজ), রাজসিংহাসনধারী (তখ্তধারী), তেমনি সেই প্রত্যেকটি বিশেষত্ব প্রতিটি বাচ্চা যেন নিজের মধ্যে অনুভব করে। এখনও সময় রয়েছে, যা কিছু এখনও বাকি রয়েছে, সে সমস্ত কিছু নিজের মধ্যে ধারণ করে, ধারণা রূপের সাক্ষাৎকার করাও। এখন কি করব? কীভাবে করব?...... না। এসবের প্রশ্ন করবার কোনো ব্যাপারই নেই। এখন বাবা সবাইকে হিম্মৎ দিয়েছেন, উৎসাহ দিয়েছেন আর এই উৎসাহ উদ্দীপনাকে সাথে নিয়ে জলদি জলদি এগিয়ে যাও । আচ্ছা।