উপর বিচার সাগর মন্থন করে নিজ অবস্থা ব্রহ্মাবাবার সমান বানান --
1. প্রশ্ন : -- ব্রহ্মাবাবার মধ্যে কোন্ কোন্ বিশেষত্ব ছিল যার কারণে তাঁকে প্রজাপিতা নাম দেওয়া হয়েছে ?
উত্তর : -- ব্রহ্মাবাবা ছিলেন -- "মর্যাদাসম্পন্ন ও দূশ্যতঃ সদা ক্রিয়াশীল " ব্যক্তিত্বের অধিকারী। উদারতা, সকলের প্রতি কল্যাণ ভাবনা, অমায়িক ও মধুর ব্যবহার, রাজকুলোচিত শালীনতা এবং ঈঈশ্বর প্রাপ্তির এক অদম্য কামনা ছিল । অনুভবী তথা সেই সময়ে তাঁর মধ্যে ছিল ভক্তির পরাকাষ্ঠা, বৈরাগ্যের অনুকূল ভূমিকা । এই সৃসৃষ্টিকে পরিবর্তনের জন্য ভগবান 'শিব' তাঁকে জ্ঞানদানের মাধ্যমে নিজের মাধ্যম করে তাঁর নামকরণ করেন ব্রহ্মা, যাতে তাঁর মুখনিঃসৃত বাণীর মাধ্যমে সত্যযুগী প্রজাদের জন্ম দেওয়া যায় ।
2. প্রশ্ন : -- ব্রহ্মাবাবা তাঁর তন - মন - ধন সেবায় কেন লাগিয়েছিলেন ?
উত্তর : -- জ্যোতির্লিঙ্গম শিব পরমাত্মার দর্শন, বিশ্ববিনাশ এবং বিশ্ববিকাশের দৃশ্য এবং এবং তিনিই যে সত্যযুগের কৃষ্ণ তথা বিষ্ণু -- এ বিষয়ে পূর্ণ নিশ্চয় হয় । তাঁর লক্ষ্য ছিল অতি উচ্চ, তুলনায় এই বিনাশী ধন কিছু নয় । সেই সর্বোচ্চ লক্ষ্য প্রাপ্ত করতে তন - মন - ধন সবই সফল করতে চেয়েছিলেন । তাই তিনি যজ্ঞ সেবায় সর্বস্ব সমর্পণ করেছিলেন, নিজের সন্তানদের কথাও ভাবেননি।
3. প্রশ্ন : -- চলতে চলতে আপন জনেরাও সরে গেল, তাও তিনি এতখানি প্রসন্নচিত্ত কীভাবে ছিলেন ?
উত্তর : -- ব্রহ্মাবাবা নষ্টমোহা হয়ে গিয়েছিলেন। তাই যখন তাঁর স্ত্রী, এক কন্যা ও পুত্রপুত্রবধূ তাঁর সঙ্গ ছিড়লেন না, অথচ ছেলে তাঁকে ছেড়ে চলে গেল ; নষ্টমোহা হয়ে যাওয়ায় সন্তানের মোহও তাঁকে আকৃষ্ট করতে পারল না।
4. প্রশ্ন : -- বাগারি পার্টে বাবার নিশ্চয় কীভাবে ছিল?
উত্তর : -- ব্রহ্মাবাবার শরীরে স্বয়ং শিব পরমাত্মার দিব্য অবতরণ হত। সেই কারণে ব্রহ্মাবাবার যজ্ঞের প্রতি ছিল দৃঢ় নিশ্চয় । শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বাবার দৃঢ় নিশ্চয় ছিল যে যজ্ঞ ররচয়িতা যিনি তিনিই এর ব্যবস্থা করবেন এবং সেটাই হত।
5. প্রশ্ন : --শিববাবার ফরমান পেয়ে এক ঝটকায় কেন সমর্পিত হয়ে গেলেন ?
উত্তর : -- স্বয়ং শিব পরমাত্মার তাঁর শরীরে দিব্য অবতরণ এবং তিনিই যে সত্যযুগের প্রিন্স -- কৃষ্ণ তথা বিষ্ণু বা নারায়ণ -- এই সাক্ষাৎকার হওয়ায়, নব সৃষ্টির তিনিই যে নির্মাতা -- এই মহান কার্যকে সভল করতে তাঁর বিন্দুমাত্র সংশয় তো এলোই না বরং সর্বস্ব সমর্পণ করলেন। এত বড় সমর্পণ আর অন্য কোনো মানবের পক্ষেই করা সম্ভবপর ছিল না।
6. প্রশ্ন : -- এত ঠান্ডা সহ্য করেও ব্রহ্মাবাবা সম্পূর্ণ ফরিস্তা কীভাবে হলেন ?
উত্তর : -- যিনি ফরিস্তা তাঁর তো জাগতিক কোনো কিছুই প্রভাব ফেলতে পারে না । প্রকৃতিও অধীন হয়ে যায় ।
7. প্রশ্ন : -- অন্যদের সামলানোর পাশাপাশি বাবা নিজের পুরুষার্থের তেজ কীভাবে রাখতে পেরেছিলেন ?
উত্তর : -- পুরুষার্থের মাধ্যমেই সম্পৃর্ণতা প্রাপ্তি ছিল ব্রহ্মাবাবার লক্ষ্য । তাঁর শরীরে প্রবিষ্ট স্বয়ং পরমাত্মাই যে এই যজ্ঞের হৃত্বিক এবং তিনি সত্যযুগের প্রিন্স হবেন -- এই মহান লক্ষ্য পূরণ করতে হলে যজ্ঞ বৎসদের লালন পালন করে তৈরী করার পাশাপাশি তিনি নিজের পুরুষার্থকেও তীব্র থেকে তীব্রতর করে ফরিস্তা হয়ে গেলেন।
8. প্রশ্ন : -- বাবা অল্পাহারী এবং নিদ্রাজিৎ কীভাবে হলেন ?
উত্তর : -- যোগ তপস্যায় নিযুক্ত থাকলে ব্যক্তি এমনিতেই মিতাহারী হয়ে যায়, আর মিতাহারী হলেই নিদ্রাও কম হয় ।
9. প্রশ্ন : -- বাবা সব কিছু দেখছিললেন, শুনছিলেন, তাও একরস, অচল, অডোল কীভাবে ছিলেন ?
উত্তর : -- ব্রহ্মাবাবা ছিলেন নষ্টমোহা, ফরিস্তা স্থিতি প্রাপ্ত করেছিলেন । এই পৃথিবীতে থেকেও তিনি যেন ছিলেন না ।
10. প্রশ্ন : -- ব্রহ্মাবাবা, জানকী দাদী এত বড় অথরিটি হয়েও নিজেদেরকে সদা Student কেন ভাবতেন ?
উত্তর : -- ব্রহ্মাবাবা, দাদীর মত তীব্র পুরুষার্থীদের কাছে লক্ষ্য ছিল ভাইবোনদের তৈরী করা। তারা যাতে শিখতে পারে । দাদি নিজে সারাদিনে এগারো বার মুরলী পড়তেন। ব্রহ্মাবাবাও ডাইরীতে Note করতেন। সব সময় নিজেদের Student মনে করতেন।
1. প্রশ্ন : -- ব্রহ্মাবাবার মধ্যে কোন্ কোন্ বিশেষত্ব ছিল যার কারণে তাঁকে প্রজাপিতা নাম দেওয়া হয়েছে ?
উত্তর : -- ব্রহ্মাবাবা ছিলেন -- "মর্যাদাসম্পন্ন ও দূশ্যতঃ সদা ক্রিয়াশীল " ব্যক্তিত্বের অধিকারী। উদারতা, সকলের প্রতি কল্যাণ ভাবনা, অমায়িক ও মধুর ব্যবহার, রাজকুলোচিত শালীনতা এবং ঈঈশ্বর প্রাপ্তির এক অদম্য কামনা ছিল । অনুভবী তথা সেই সময়ে তাঁর মধ্যে ছিল ভক্তির পরাকাষ্ঠা, বৈরাগ্যের অনুকূল ভূমিকা । এই সৃসৃষ্টিকে পরিবর্তনের জন্য ভগবান 'শিব' তাঁকে জ্ঞানদানের মাধ্যমে নিজের মাধ্যম করে তাঁর নামকরণ করেন ব্রহ্মা, যাতে তাঁর মুখনিঃসৃত বাণীর মাধ্যমে সত্যযুগী প্রজাদের জন্ম দেওয়া যায় ।
2. প্রশ্ন : -- ব্রহ্মাবাবা তাঁর তন - মন - ধন সেবায় কেন লাগিয়েছিলেন ?
উত্তর : -- জ্যোতির্লিঙ্গম শিব পরমাত্মার দর্শন, বিশ্ববিনাশ এবং বিশ্ববিকাশের দৃশ্য এবং এবং তিনিই যে সত্যযুগের কৃষ্ণ তথা বিষ্ণু -- এ বিষয়ে পূর্ণ নিশ্চয় হয় । তাঁর লক্ষ্য ছিল অতি উচ্চ, তুলনায় এই বিনাশী ধন কিছু নয় । সেই সর্বোচ্চ লক্ষ্য প্রাপ্ত করতে তন - মন - ধন সবই সফল করতে চেয়েছিলেন । তাই তিনি যজ্ঞ সেবায় সর্বস্ব সমর্পণ করেছিলেন, নিজের সন্তানদের কথাও ভাবেননি।
3. প্রশ্ন : -- চলতে চলতে আপন জনেরাও সরে গেল, তাও তিনি এতখানি প্রসন্নচিত্ত কীভাবে ছিলেন ?
উত্তর : -- ব্রহ্মাবাবা নষ্টমোহা হয়ে গিয়েছিলেন। তাই যখন তাঁর স্ত্রী, এক কন্যা ও পুত্রপুত্রবধূ তাঁর সঙ্গ ছিড়লেন না, অথচ ছেলে তাঁকে ছেড়ে চলে গেল ; নষ্টমোহা হয়ে যাওয়ায় সন্তানের মোহও তাঁকে আকৃষ্ট করতে পারল না।
4. প্রশ্ন : -- বাগারি পার্টে বাবার নিশ্চয় কীভাবে ছিল?
উত্তর : -- ব্রহ্মাবাবার শরীরে স্বয়ং শিব পরমাত্মার দিব্য অবতরণ হত। সেই কারণে ব্রহ্মাবাবার যজ্ঞের প্রতি ছিল দৃঢ় নিশ্চয় । শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বাবার দৃঢ় নিশ্চয় ছিল যে যজ্ঞ ররচয়িতা যিনি তিনিই এর ব্যবস্থা করবেন এবং সেটাই হত।
5. প্রশ্ন : --শিববাবার ফরমান পেয়ে এক ঝটকায় কেন সমর্পিত হয়ে গেলেন ?
উত্তর : -- স্বয়ং শিব পরমাত্মার তাঁর শরীরে দিব্য অবতরণ এবং তিনিই যে সত্যযুগের প্রিন্স -- কৃষ্ণ তথা বিষ্ণু বা নারায়ণ -- এই সাক্ষাৎকার হওয়ায়, নব সৃষ্টির তিনিই যে নির্মাতা -- এই মহান কার্যকে সভল করতে তাঁর বিন্দুমাত্র সংশয় তো এলোই না বরং সর্বস্ব সমর্পণ করলেন। এত বড় সমর্পণ আর অন্য কোনো মানবের পক্ষেই করা সম্ভবপর ছিল না।
6. প্রশ্ন : -- এত ঠান্ডা সহ্য করেও ব্রহ্মাবাবা সম্পূর্ণ ফরিস্তা কীভাবে হলেন ?
উত্তর : -- যিনি ফরিস্তা তাঁর তো জাগতিক কোনো কিছুই প্রভাব ফেলতে পারে না । প্রকৃতিও অধীন হয়ে যায় ।
7. প্রশ্ন : -- অন্যদের সামলানোর পাশাপাশি বাবা নিজের পুরুষার্থের তেজ কীভাবে রাখতে পেরেছিলেন ?
উত্তর : -- পুরুষার্থের মাধ্যমেই সম্পৃর্ণতা প্রাপ্তি ছিল ব্রহ্মাবাবার লক্ষ্য । তাঁর শরীরে প্রবিষ্ট স্বয়ং পরমাত্মাই যে এই যজ্ঞের হৃত্বিক এবং তিনি সত্যযুগের প্রিন্স হবেন -- এই মহান লক্ষ্য পূরণ করতে হলে যজ্ঞ বৎসদের লালন পালন করে তৈরী করার পাশাপাশি তিনি নিজের পুরুষার্থকেও তীব্র থেকে তীব্রতর করে ফরিস্তা হয়ে গেলেন।
8. প্রশ্ন : -- বাবা অল্পাহারী এবং নিদ্রাজিৎ কীভাবে হলেন ?
উত্তর : -- যোগ তপস্যায় নিযুক্ত থাকলে ব্যক্তি এমনিতেই মিতাহারী হয়ে যায়, আর মিতাহারী হলেই নিদ্রাও কম হয় ।
9. প্রশ্ন : -- বাবা সব কিছু দেখছিললেন, শুনছিলেন, তাও একরস, অচল, অডোল কীভাবে ছিলেন ?
উত্তর : -- ব্রহ্মাবাবা ছিলেন নষ্টমোহা, ফরিস্তা স্থিতি প্রাপ্ত করেছিলেন । এই পৃথিবীতে থেকেও তিনি যেন ছিলেন না ।
10. প্রশ্ন : -- ব্রহ্মাবাবা, জানকী দাদী এত বড় অথরিটি হয়েও নিজেদেরকে সদা Student কেন ভাবতেন ?
উত্তর : -- ব্রহ্মাবাবা, দাদীর মত তীব্র পুরুষার্থীদের কাছে লক্ষ্য ছিল ভাইবোনদের তৈরী করা। তারা যাতে শিখতে পারে । দাদি নিজে সারাদিনে এগারো বার মুরলী পড়তেন। ব্রহ্মাবাবাও ডাইরীতে Note করতেন। সব সময় নিজেদের Student মনে করতেন।